স্টার্ক পেরেছেন, স্টার্ক পারেননি

ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে করা বলটা প্রায় ইয়র্কার লেংথের ছিল। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক সময়মতোই ব্যাট নামিয়ে আনলেন। স্পিডোমিটার দেখে ধারাভাষ্যকার পর্যন্ত অবিশ্বাসে চেঁচিয়ে উঠলেন। ১৬০.৪! ক্রিকেটে ১৬০ কিলোমিটার ক্লাবের দরজা দিয়ে অনেকদিনই তো কেউ ঢোকেননি। জেফ টমসন, শোয়েব আক্তার, শন টেইট, ব্রেট লি... এরপর আবার স্টার্ক!
ওয়াকার পিচে সারাদিন হাপিত্যেশ করেই মরতে হয়েছে বোলারদের। উইলিয়ামসন-টেলর মোটামুটি মৌরসীপাট্টাই গেড়ে বসেছিলেন উইকেটে। নতুন বল হাতে পাওয়ার পর ভোজবাজির মতো বদলে গেল দৃশ্যপট। মিচেল স্টার্ক এসেই যেন আগুন ঝরাতে শুরু করলেন। প্রায় প্রতিটা বলই ১৫০ কিলোমিটারের আশেপাশে ওঠানামা করছিল। শেষ পর্যন্ত ম্যাককালামকে করা বলে ১৬০ কিলোমিটারের গণ্ডিই পেরিয়ে গেলেন। ওয়াকার দর্শকেরা নাম ধরে চেঁচাচ্ছে, গ্রিক বীরের মতো ধেয়ে আসছেন স্টার্ক- ক্রিকেট দেখল ফাস্ট বোলিংয়ের সবচেয়ে শিল্পিত রূপই।
এর আগে ১৫৪.৮ কিলোমিটার বেগে করা একটা বল তো ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ব্যাটই হসিয়ে দিয়েছে। পরে কিউই অধিনায়ককে ব্যাট বদলাতে হয়েছে।
এরপরও স্টার্কের আফসোস থাকতে পারে। আগুনঝরা বোলিংয়ের প্রতিফলন যে স্কোরকার্ডে নেই। সেটার জন্য নাথান লায়ন ও মিচেল মার্শকে অবশ্য দায়ী করতে পারেন। দুজনেই যে ক্যাচ ছেড়েছেন! লায়নের দোষটাই বেশি, ম্যাককালামের ক্যাচটা তৃতীয় স্লিপে ধরাই উচিৎ ছিল। সেই তুলনায় রস টেলরের ক্যাচটা মার্শের জন্য অনেক কঠিনই ছিল। দুর্দান্ত এক স্পেলের পরও তাই উইকেটশুন্য থাকতে হয়েছে স্টার্ককে।
ও, আরেকটা আফসোস থাকতে পারে। গতিটা আরেকটু বেশি হলেই ১০০ মাইলের মাইলফলকটা ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন। ১৬০.৯ কিলোমিটার হলেই হয়ে যেত ১০০ মাইলের কীর্তি।