• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    লঙ্কাবধে কিউইদের উড়ন্ত সূচনা

    লঙ্কাবধে কিউইদের উড়ন্ত সূচনা    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ নিউজিল্যান্ড ৩৩১/৬, ৫০ ওভার (অ্যান্ডারসন ৭৫, ম্যাককালাম ৬৫, উইলিয়ামসন ৫৭; মেন্ডিস ২/৫); শ্রীলংকা ২৩৩/১০, ৪৬.১ ওভার (থিরামানে ৬৫, ম্যাথিউস ৪৬; অ্যান্ডারসন ২/১৮, ভেট্টরি ২/৩৪)।

    ফলঃ নিউজিল্যান্ড ৯৮ রানে জয়ী

    ম্যান অব দ্য ম্যাচঃ কোরি অ্যান্ডারসন (নিউজিল্যান্ড)



    ম্যাচ প্রিভিউতে বলা হয়েছিল সংক্ষিপ্ত অতীত রেকর্ড আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আমলে নিলে হ্যাগলে ওভালে টস জেতা অধিনায়ক সম্ভবত প্রথমে ফিল্ডিংই করতে চাইবেন। সকালে এক পশলা বৃষ্টিও হয়ে যাবার পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সামনে তাই খুব বেশী চিন্তাভাবনার সুযোগ ছিল না। কিন্তু তাঁর বোলাররা কি দলপতির সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন? নির্ধারিত ৫০ ওভারে কিউইদের ৬ উইকেট দখলের বিনিময়ে গুণতে হল ৩৩১ রান।

    ভেজা আউটফিল্ডে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম উইকেট জুটিতে ম্যাককালাম-গাপ্টিল মাত্র ৯৫ বল মোকাবেলায় সংগ্রহ করেন ১১১ রান। ৪৯ বলে ৬৫ রান করে ম্যাককালাম হেরাথের বলে জীবন মেন্ডিসের তালুবন্দী হন।

     

     

    গাপ্টিল (৪৯), উইলিয়ামসন (৫৭), এলিয়টদের (২৯) গড়ে দেয়া ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ষষ্ঠ উইকেটে কোরি অ্যান্ডারসন ও লুক রঞ্চি দলকে পৌঁছে দেন ৩৩১ রানের নিরাপদ উচ্চতায়। ইনিংসের শেষ বলে আউট হবার আগে ৪৬ বল মোকাবেলায় ৮ চার, ২ ছয়ে অ্যান্ডারসন করেন ৭৫ রান।

     

     

    ১৯ বলে ২৯ রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রঞ্চি। শ্রীলংকার পক্ষে মেন্ডিস ৫ রানের বিনিময়ে ও লাকমাল ৬২ রানের বিনিময়ে ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

    বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত সূচনাই করেছিলেন দিলশান-থিরামানে। প্রথম ১৩ ওভার থেকে এ জুটির সংগ্রহ ছিল ৬৫ রান। ভেট্টরির বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে দিলশান (২৪) ফিরে যাবার পর থিরামানে-সাঙ্গাকারা অবিচ্ছিন্ন থাকেন ২২ ওভারে ১২৪ রান তোলা পর্যন্ত। বোল্টের বলে বোল্ড হওয়া থিরামানে ৬০ বল খেলে ৮ চারের সাহায্যে করেন ৬৫ রান। সেই বোল্টের বলেই দুর্ভাগ্যজনক এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন সাঙ্গাকারা। অবশ্য তার আগে ৩৮ বলে করা ৩৯ রানের সুবাদে বিশ্বকাপের মাঠে সাঙ্গাকারার রানসংখ্যা ১ হাজার অতিক্রম করে (১০৩০)। জয়সুরিয়া (১১৬৫) ও ডি সিলভার (১০৬৪) পর তৃতীয় লঙ্কান হিসেবে তিনি এ কৃতিত্ব দেখালেন। এই ৩৯ রানের সৌজন্যেই একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় রিকি পন্টিংকে (১৩,৭০৪) পিছনে ফেল দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন সাঙ্গাকারা (১৩,৭৩২)।

     

     

    এরপর অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস একপ্রান্ত আগলে  প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন সে প্রচেষ্টায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বারবার। ব্যক্তিগত ৪৬ রান করে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে লঙ্কান ক্যাপ্টেন যখন সাজঘরের পথে, স্কোরবোর্ডে তখন ২১৬ রান।

     

     

    বাকি দুট উইকেট খুব বেশীক্ষণ টিকিয়ে রাখা গেলো না। ফলস্বরূপ ৪৬.১ ওভারে মাত্র ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কান ইনিংস। ব্যাট হাতে সাফল্যের পর বল হাতেও মাত্র ১৫ রানের বিনিময়ে দু' উইকেট নেন কোরি অ্যান্ডারসন। এছাড়া ভেট্টরি, মিলনে, বোল্ট, সৌদিদের প্রত্যেকেই নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।