• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    অপেক্ষা গেইল ঝড়ের

    অপেক্ষা গেইল ঝড়ের    

    সর্বশেষ শতকটা পেয়েছিলেন ২০১৩ সালের জুনে, শ্রীলংকার বিপক্ষে; অর্ধশতকের দেখাও পান না আট ইনিংস ধরে। গত ২০ মাসে খেলা ১৯টি একদিনের আন্তর্জাতিক ইনিংসে ত্রিশের উপর রান করেছেন কেবল ৩ বার, গড় নেমে এসেছে ১৪.৪২-এ! বর্তমান ক্রিকেটের সবচেয়ে ‘হার্ডহিটার’ ব্যাটসম্যানদের একজন হিসেবে পরিচিত ক্রিস গেইলের এহেন ব্যাটিং দুর্দশায় বিরক্ত খোদ ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ডেভ ক্যামেরন! পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন টুইটারে জনৈক ক্যারিবিয়ানের একটি মন্তব্য ‘রি-টুইট’ করেন ডেভ যেখানে লেখা ছিল, “এবার তাঁর অবসর নেয়া উচিৎ। এভাবে একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থতা মেনে নেয়া যায় না। নামের জোরে আর কতদিন?”

    ক্যামেরন অবশ্য পরবর্তীতে এমন ‘বোকামি’র জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তাতেই কি গেইলের ফর্মহীনতা ‘বৈধ’ হয়ে যায়? আয়ারল্যান্ডের কাছে হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেড়শ’ রানের বড় জয়টিও ঢাকা পড়ে যাচ্ছে গেইলের ব্যাটে ‘রান খরা’র আলোচনায়।

     

     

    তবে এই দুঃসময়ে সতীর্থদের তিনি পাশেই পাচ্ছেন। অন্তত অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের বক্তব্য তেমনটাই ইঙ্গিত করছে, “এটা ঠিক যে সে রান পাচ্ছে না। কিন্তু তাঁর উপর আমাদের আস্থায় এখনও এতোটুকু চির ধরে নি। আমি শুধু প্রতীক্ষায় থাকি হয়তো আগামীকালই সে ঘুরে দাঁড়াবে এবং আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে।”

    প্রথম দু’ ম্যাচেই ব্যর্থ উইন্ডিজ টপ অর্ডার। অথচ তারপরও দুটো ম্যাচেই তিনশ’ পেরিয়েছে রানের অংক। গেইলের ব্যর্থতায় ঢাল হিসেবে সে প্রসঙ্গই টেনে আনলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক আন্দ্রে রাসেল, “গেইলের সময়টা খারাপ যাচ্ছে। তারপরও কিন্তু আমরা তিনশো পেরোচ্ছি। গেইল-স্যামুয়েলসরা যেদিন রান পাবে সেদিন তো আমরা সাড়ে তিনশ পেরুবো!”

    অধিনায়ক হোল্ডার বরং খুশীই যে গেইল ঝড় শুরুর আগেই তাঁরা এমন সংগ্রহ তুলতে পারছেন। গেইলের দিনে তাঁরা চারশ’র মতো রান করার সামর্থ্য রাখেন বলেও বিশ্বাস ২৩ বছর বয়সী এই পেসারের।