"মিস, মিস, ছয়, ছয়" নয়, দরকার "চার, চার, চার"
স্লগিং। ডেথ-ওভারে ব্যাটিং। আর একজন স্লগার, বিগ-হিটারের আক্ষেপ। বাংলাদেশের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যেন ফিরে ফিরেই আসে এসব। আজ অনুশীলনেও ম্যাচ-সিনারিও অনুশীলনে আরিফুল হককে নিয়ে বাড়তি কাজ করছিলেন স্টিভ রোডস। নিদাহাস ট্রফিতে সাফল্যের আগে-পরে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের একটা ব্র্যান্ডের কথা শোনা গিয়েছিল। এবার নিজেদের ধরনেই স্লগিং বা দ্রুত রান তোলার টোটকা দিচ্ছেন নতুন ব্যাটিং পরামর্শক নিল ম্যাকেঞ্জি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সঙ্গে যোগ দিলেও এশিয়া কাপের প্রস্তুতিতে আজই ম্যাকেঞ্জিকে পেয়েছে বাংলাদেশ। সেখানেই বললেন, বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী কবজির জোর ও ব্যাটের গতির প্রতি আরেকটু নজর দিলেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
অন্য দলের সঙ্গেও তুলনায় যেতে চান না ম্যাকেঞ্জি, “সিনিয়র ক্রিকেটারদের নেওয়া ধাপগুলির দিকে তাকান। বাংলাদেশ ভাল একটা ইউনিট। আমাদের যেটা করতে হবে, নিজেদের সামর্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। ব্যাটের গতি, কবজির জোরের প্রতি আরও নজর দিতে হবে। আমার মনে হয় না, গেম-প্ল্যানের অংশ হিসেবে তারা এসব ভূমিকা পালন করতে পারে। অন্য দলের সঙ্গে তুলনা করাটা কঠিন হবে। ছয়-সাত মাস পর আমাকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন, আমি যখন এদের জানতে পারব ভালভাবে। আমার মনে হয়, রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে আমরা বেশ দ্রুত। আমাদের কবজির জোরও অবিশ্বাস্য।”
ব্যাটিংয়ে উন্নতির মূল ব্যাপার কি সব সময়ই টেকনিক্যাল? স্কিলের সম্পর্কটাই বা কেমন? ম্যাকেঞ্জি বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনার দিকে জোর দিতে, “টেকনিক্যাল দিক দিয়ে আপনি আরও ভাল করতে পারেন। আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছি না, তারা যেভাবে হিট করে। তবে আমরা আমাদের হিটিং দক্ষতা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। বৃত্তের ভেতরের চারজন ফিল্ডারকে লক্ষ্য করে- কাভার, পয়েন্ট, মিডউইকেট ও ৪৫ ডিগ্রীর ওপর দিয়ে। এই দলে কিছু বিগ-হিটার আছে। সিপিএলেই তো রিয়াদ ১১ বলে ২৮ করল। টেকনিক্যাল দিক দিয়ে আপনি আরও ভাল হিটার হতে পারেন, হিট করার জন্য ভাল একটা জায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারেন।
“যদি ওভারপ্রতি ছয় করে দরকার হয়, আমি অবশ্যই সিঙ্গেলস-ডাবলস বের করব, জায়গা বের করে খেলব। যদি ১২ করে তাড়া করতে হয়, তাহলে কাভার বা মিডউইকেট বা সোজা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারি খুঁজব। ১২ করে তাড়া করতে হলে অবশ্যই আমাকে আরেকটু কঠিন করে খেলতে হবে, বড় শটের দিকে ঝুঁকতে হবে।
“ছয় মেরে যে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে তা নয়, বরং আরও দক্ষ শটের প্রদর্শনীও তো দেখাতে পারি। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা হয়তো এভাবে খেলবে- মিস, মিস, ছয়, ছয়। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানকে আমি এভাবে দেখতে চাইব- চার, চার, চার।
“বড় ছয় দেখে আমি ভড়কে যেতে চাই না, বরং এর মাঝে কী হচ্ছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। তিনটা ভাল ক্রিকেটীয় শট দিয়ে আমরা ১২ রান পেতে পারি। কিছু নির্দিষ্ট ব্যাপারে মনযোগ দিলে, নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করলেই হয়।”