মাহমুদউল্লাহর পারফর্ম করে যাওয়ার "সহজ মন্ত্র"
দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালসহ বাংলাদেশ হেরেছিল টানা দুই ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ানডেতে মুখোমুখি লড়াই সেটিই শেষ। তবে সব ফরম্যাট মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের সুখস্মৃতির অভাব নেই খুব একটা। নিদাহাস ট্রফিতেও বাংলাদেশ জিতেছিল দুই ম্যাচই। এবার ফরম্যাট ওয়ানডে, টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের প্রথম হার্ডল শ্রীলঙ্কায়। মাহমুদউল্লাহর আশা, দারুণ স্মৃতিগুলোরই পুনরাবৃত্তি।
“শ্রীলঙ্কার সাথে আমাদের দারুণ কিছু স্মৃতি আছে”, বলছেন মাহমুদউল্লাহ, “তবে শ্রীলঙ্কা শক্তিশালী দল এবং তারা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। তাদের হারাতে হলে আমাদের সেরাটা খেলতে হবে। আমরা দেশে থাকতে খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি ভালো কিছু করতে পারবো।”
মাহমুদউল্লাহর ব্যক্তিগত মন্ত্রটা সহজ- সহজভাবে সবকিছু দেখে পারফর্ম করে যাওয়া, “ব্যক্তিগতভাবে এশিয়া কাপে কিছু করার চেষ্টা করবো। দলের জন্য অবদান রাখতে পারলে ভালো লাগে, সেই ভালো লাগা আরো বেড়ে যায় যদি দল জেতে। আমি ব্যাপারটাকে সহজভাবে দেখতে চাই এবং যতোটা সম্ভব পারফর্ম করতে চাই।
“সত্যি কথা বলতে, সবগুলো দলই এখন ভালো ক্রিকেট খেলছে। প্রতিটি দলই গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং স্বস্তিতে থাকার কোনো সুযোগ নেই। আর আমরা পুরো আসরকে একটা একটা ম্যাচে ভাগ করে চিন্তা করতে চাই। এতে প্রথম দিকে ভালো কিছু করতে পারবো।”
দেশে থাকতেও আরব আমিরাতের কন্ডিশন নিয়ে আলোচনা হয়েছ্যে অনেক। মাহমুদউল্লাহ সেখানে গিয়ে আদ্রতার ব্যাপারটা বেশি করে টের পাচ্ছেন, “ এই মুহুর্তে এখানকবার আবহাওয়ায় আদ্রতা বেশি। তবে একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাকে এর সাথে মানিয়ে চলতে হবে এবং খেলতে হবে। আমরা আবহাওয়ার ব্যাপারটাকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি।”
আরব আমিরাত দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের ধার করা ঘর। ভারত খেলছে ১২ বছর পর। শ্রীলঙ্কা বেশ কয়েকটি সিরিজ খেলেছে পাকিস্তানের সঙ্গে, এমনকি আফগানিস্তানও একসময় খেলতো সেখানেই। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশই “নবীনতর”, খেলতে যাচ্ছে এই প্রথমবার। তবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমর্থনের আশা করছেন এই ব্যাটসম্যান, “এখানে প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক থাকেন। সুতরাং অনেক বেশি সমর্থন পাবো বলেই বিশ্বাস করছি। আশা করি তারা মাঠে আসবেন, আমাদের সমর্থন করবেন এবং আমরা তাদের জন্য ভালো কিছু করবো।”