• লা লিগা
  • " />

     

    এস্পানিওলের বিপক্ষে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়

    এস্পানিওলের বিপক্ষে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়    

    সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মাঝারি সারির দলগুলোর বিপক্ষে সাধারণত বড় জয় দেখেই অভ্যস্ত রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকেরা। অন্তত বড় জয় না হলেও ম্যাচে আধিপত্য বজায় রেখে জয়টা ছিনিয়ে আনে 'লস ব্লাঙ্কোস'রাই। কিন্তু বার্নাব্যুতে রিয়ালকে আজ রীতিমত সমানে সমান টেক্কা দিয়ে গেল এস্পানিওল। শুধুমাত্র বাজে ফিনিশিংয়ের জন্য ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। কিন্তু পয়েন্ট না পেলেও এস্পানিওল যেন রিয়ালকে জানান দিল, এমন খেলা দিয়ে এই মৌসুমে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ তাদের। মার্কো আসেন্সিওর একমাত্র গোলে এস্পানিওলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। সেই সাথে ১৯৯৬-এর পর বার্নাব্যুতে এস্পানিওলের বিপক্ষে না হারার রেকর্ডটা অক্ষুণ্ণ থাকল তাদের।

    সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আজ মূল একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন হুলেন লোপেতেগি। গ্যারেথ বেল, টনি ক্রুস, দানি কারভাহালরা ছিলেন বিশ্রামে। ইস্কোকে বাঁপ্রান্তে খেলিয়েছেন লোপেতেগি। কিন্তু ক্রুস, বেলদের অভাবটা ছিল সুস্পষ্ট। আক্রমণভাগে একাধিক ভুল পাসে এস্পানিওল রক্ষণভাগের জন্য কাজটা সহজ করে দিচ্ছিলেন বেনজেমারা। আর রক্ষণে প্রেসিংয়ের অভাবে রামোসদের চেপে ধরছিলেন লিও বাপতিস্তাওরা। ম্যাচে প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল বার্সেলোনার দলটিই। কিন্তু ১৫ মিনিটে পাবলো পিয়াত্তির শট চলে যায় গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে। পুরো প্রথমার্ধ জুড়েই বজায় ছিল এস্পানিওল আক্রমণভাগের দাপট। কিন্তু দূর্বল ফিনিশিংয়ের জন্য আর লিডটা নেওয়া হয়ে উঠেনি। প্রতিবারই গোছানো আক্রমণের শেষটা হয়েছে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে। রিয়ালের ডিফেন্ডারদের ভুলগুলোও কাজে লাগাতে পারেননি পেরেজ-বাপতিস্তাওরা। ৩৭ মিনিটে হার্নান পেরেজের শট দক্ষহাতে ফিরিয়েছেন রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। নিজেদের মাঠে প্রতিপক্ষের এমন দাপুটে প্রদর্শনীতে অধৈর্য হয়ে উঠেন মাদ্রিদের সমর্থকেরা। দুয়োধ্বনিতে মূহূর্মূহূ কেঁপে উঠতে থাকে সমগ্র বার্নাব্যু। সমর্থকদের দুয়োতে অবশ্য কাজ হয়েছে ঠিকই। প্রথমার্ধের শেষদিকে জ্বলে উঠা রিয়াল লিডটাও নেয় ৪৩ মিনিটে। লুকা মদ্রিচের শট এস্পানিওল ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে আসে মার্কো আসেন্সিওরা পায়ে। বাঁপায়ের জোরাল শটে ডিয়েগো লোপেজকে পরাস্ত করেন তিনি।

     

     

    প্রথমার্ধের শেষদিকে লিড নেওয়া রিয়াল স্বরূপে ফেরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই। ৫০ মিনিটে ইস্কোর শট লোপেজ ফিরিয়ে না দিলে তখনই লিডটা দ্বিগুণ করত লোপেতেগির দল। সাবেক দলের বিপক্ষে মনে রাখার মত এক পারফরম্যান্স রেখে গেলেন লোপেজ। গোলরক্ষকের বীরত্বে অনুপ্রারিত হয়ে ৬৬ মিনিটে আরেকটু হলেই সমতায় ফিরত এস্পানিওল। রামোসের ভুলে কর্তোয়াকে একা পেয়ে চিপ করেন বোরহা গার্সিয়া। কিন্তু তার চিপ প্রতিহত হয় ক্রসবারে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন রামোস, অক্ষুণ্ণ থাকে রিয়ালের লিড। ৭২ মিনিটে রামোসের হেড অবিশ্বাস্যভাবে ফিরিয়ে দিয়ে দলকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন লোপেজ। রামোস, ইস্কোরা উজ্জ্বল থাকলেও গোলের পর থেকেই একেবারেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন আসেন্সিও। দ্বিতীয়ার্ধে স্বার্থপর খেলে নষ্ট করেছেন একাধিক প্রতি-আক্রমণ। শুনেছেন বার্নাব্যুর দুয়োও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসেন্সিওর গোলই ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায় দু'দলের মাঝে। শত চেষ্টায়ও আর সমতায় ফেরা হয়নি এস্পানিওলের। একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করে লোপেজের দীর্ঘশ্বাসটাই বাড়িয়েছেন সার্জিও গার্সিয়ারা। শেষ পর্যন্ত দারুণ এক দলীয় পারফরম্যান্সের পরও ফিরতে হল খালি হাতেই।