• এশিয়া কাপ ২০১৮
  • " />

     

    "যুদ্ধে নামলে হয় মারবেন, নাহয় মরবেন"

    "যুদ্ধে নামলে হয় মারবেন, নাহয় মরবেন"    

    তামিম ইকবাল ছিলেন না আগে থেকেই। এই ম্যাচের আগেই বাংলাদেশ জানলো, খেলছেন না সাকিবও। ত্রিদেশীয় সিরিজের পর থেকে বয়ে নিয়ে বেড়ানো চোটটা নামতে দিচ্ছে না তাকে। সাকিবের জায়গা পূরণ করতে সাধারণত প্রয়োজন হয় দুইজনকে- একজন বোলার, একজন ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ অবশ্য সেটার সমাধান করলো অন্যভাবে। পঞ্চম বোলারের ভূমিকাটা মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুল-সৌম্যই পালন করবেন বলে ঠিক হলো। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপান্ডবের রইলেন বাকি তিনজন- মাশরাফি, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ। তবে সে তিনজন মিলে উদ্বুদ্ধ করলেন বাকিদের, যুদ্ধে নামলে তো আর পেছন ফেরার সুযোগ নেই! 

    “সবাইকেই বলেছি, আমি, মাশরাফি ভাই, রিয়াদ ভাই মিলে। মাশরাফি ভাইয়ের এই কথাটা প্রেরণা দিয়েছে, ‘যুদ্ধে নামলে হয় মরবেন নাহয় মারবেন’।” ম্যাচশেষে বলেছেন মুশফিক, “কে আছে কে নেই, দেখার কিছু নেই। আমিও একসময় থাকবো না, আমাদের পাঁচজনের কেউই থাকবে না।”

    মুশফিকের সঙ্গে এদিনও জুটি বেঁধেছিলেন মিঠুন, মুস্তাফিজ দারুণ বোলিংয়ে নিয়েছেন চার উইকেট। শুরুতে মিরাজও করেছেন ভাল বোলিং। আজকের ম্যাচে জুনিয়রদের পারফরম্যান্সই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানালেন ম্যাচসেরা মুশফিক, “জুনিয়রদের আজকের পারফরম্যান্স দেখুন, গুরুত্বপূর্ণ। মিঠুন ভাল ব্যাটিং করেছে, মিরাজ, মুস্তাফিজ ভাল বোলিং করেছে। আজকের ম্যাচে জুনিয়রদের পারফরম্যান্সই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক।”

    “সাকিব-তামিম ছিল না, আমরা জানতাম কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। আমার মনে হয়, এই দলের ক্যারাক্টার প্রকাশ পাচ্ছে এটাতেই।” 

    মুশফিক নিজে ব্যাটিংয়ে চোট পেয়ে বিরতি নিয়েছেন বেশ কয়েকবার, পরে কিপিং ছেড়ে উঠেও গেছেন। দল ফাইনালে উঠলে তাকে দরকার- এমন ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে তার আগে মুশফিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে নিয়েছেন দারুণ এক ক্যাচ। আর মাশরাফির ক্যাচ তো ছিল অনন্য। 

    এসব ক্যাচের প্রসঙ্গে মুশফিক একটু হাসলেন, “বুড়ো বয়সেও একটা দুইটা ক্যাচ নেওয়ার ভাগ্য আল্লাহ দিচ্ছেন। আমি, মাশরাফি ভাই, দুজনই খুশি।”

    “শোয়েব ভাইয়ের উইকেটটা দরকার ছিল। উনি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভাল ইনিংস খেলে এর আগেও ম্যাচ জিতিয়েছেন তার দলকে। মাশরাফি ভাই যে ক্যাচটা ধরেছেন, সেটা অসাধারণ।” 

    পাকিস্তানকে তাদের পরিচিত কন্ডিশনে হারানোর চেয়েও মুশফিক বড় করে দেখছেন দায়িত্ব নিয়ে খেলার ব্যাপারটাই, “তাদের ব্যাকইয়ার্ড, তারা কন্ডিশন ভাল জানে, তবে সবকিছুর পরও এটা আর একটা ম্যাচই। এই ম্যাচে জয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সবকিছু বিবেচনায় হয়তো এইটা ম্যাচটা সবার বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার একটা ব্যাপার ছিল।”

    এশিয়া কাপে এবার বাংলাদেশ এ নিয়ে হারালো শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে। রইল বাকি শুধু ভারত। ফাইনালে মুখোমুখি হতে হবে যাদের। ‘বেসিক’টা ঠিক রাখলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব বলেই আশাবাদী মুশফিক।