• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    "নতুন কিছু পারবো না, যা পারি সেটাই চেষ্টা করব"

    "নতুন কিছু পারবো না, যা পারি সেটাই চেষ্টা করব"    


    ত্রিশ পেরিয়ে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ফজলে রাব্বিকে নিয়ে ভাবনায় নির্বাচকদের বাড়তি মনযোগ পেয়েছিল তার ফিটনেস। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় ১৪ বছরের ওপরে খেলে যাওয়া রাব্বির ফিটনেসের কথা আলাদা করেও বলেছিলেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার। মূলত গত প্রিমিয়ার লিগের পর থেকেই ফিটনেসের দিকে আরও বেশি নজর দিয়েছিলেন রাব্বি। রাব্বির ধারণা, ফিটনেসটা গত মৌসুমেই এখনকার মতো থাকলে আরও বেশ কিছু রান বেশি করতে পারতেন তিনি। 

    ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ধাপ পেরিয়ে এসেছেন রাব্বি, একসময় চিন্তা করেছিলেন ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথাও। তবে এই ১৪ বছর পর জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন যখন পূরণ হতে চলেছে, রাব্বি তখন এতো কিছু ভাবছেন না, “খুব বেশি কিছু মনে করতে পারছি না। এই মুহুর্তে আমি শুধু চিন্তা করছি নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে। আমি এত বছর খেলেছি, আমার মোটামুটি প্রমাণ করা হয়ে গেছে (ঘরোয়া) পর্যায়ে। এখানে এসে আমি নতুন করে কিছু করতে পারব না। আমি যেটা পারি, সেটাই করার চেষ্টা করব।”

    রাব্বি ব্যাটিং পারেন, টুকটাক বোলিং করেন, নির্বাচকদের দৃষ্টি করেছে তার ফিল্ডিং-ও। মূলত সাকিব আল হাসানের চোটের কথা ভেবেই তাকে নেওয়া হয়েছে দলে। রাব্বি অবশ্য এখানেও নিজের কাজটাই করে যেতে চান, “ভূমিকাটা ঠিক আছে। কিন্তু সাকিব ভাই এর জায়গা তো আর কারও পক্ষে (নেওয়া) সম্ভব না। আমি মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার। ব্যাটিংটা করতে ভালোবাসি। পাশাপাশি আমি দলের প্রয়োজনে বোলিং করতে পারি। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই এই ভূমিকাটা পালন করার চেষ্টা করব। তবে সাকিব ভাইয়ের জায়গা নেওয়া না, আমি যেটা পারি সেটাই করার চেষ্টা করব।”

    “প্রিমিয়ার লিগে ভাল হয়েছিল আমার। আমার মনে হয়েছে ফিটনেসটা যদি আরেকটু ভাল হত, তাহলে আমার রান ৭০০ (৭০৮ ছিল) থেকে ৮০০-৮৫০ রান হতে পারত। তখন আমার মাথায় এসেছে, যে করেই হোক নিজের ফিটনেসের মানে উন্নতি করতে হবে। আমার সৌভাগ্য, তখন আমাকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ডাকা হয়েছিল। সেখানে দুই আড়াই মাসের মত একটা ফিটনেস ক্যাম্প হয়েছে। ওই ক্যাম্পটা আমাকে খুব কাজে দিয়েছে। আমি খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। ওজন কমিয়েছি। বয়স নিয়ে যেই কথা হচ্ছে, আমি আসলে এসব নিয়ে ভাবি না। আমি যদি ফিট থাকি ও আমার পারফরম্যান্স ঠিক থাকে তাহলে বয়স কোনো বিষয় না।” 

    প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, বেশ পরিচিত বাংলাদেশের জন্য। সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সেও বাংলাদেশ এগিয়ে অনেকখানি। তবে রাব্বির কাছে এখন সব প্রতিপক্ষই সমান, “আমার একদমই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। আমি জানি না জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া বা অন্য কোন দলের সঙ্গে খেলছি। আমি আমার মতই খেলব, যদি সুযোগ পাই। আমি কার সাথে খেলছি এটা বড় না। কী খেলছি এটাই বড়।”

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই মঞ্চটা অপরিচিত হলেও মানিয়ে নেওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি, “এখানে স্ট্রাইক বদলানো নিয়ে কাজ করেছি আমরা। নতুন নতুন জিনিস আছে, ছোট ছোট ব্যাপার, এইসব নিয়েই কাজ করছি। এত দ্রুত অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব না। ছোট ছোট ব্যাপার, যার মধ্যে পরিবর্তন আনলে খেলাটা ভাল হয়, সেই দিকেই মনযোগ দিচ্ছি।”