• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    বরিশালে ১৯ উইকেটের দিন

    বরিশালে ১৯ উইকেটের দিন    

    প্রথম স্তর
    রাজশাহী-বরিশাল, বরিশাল 
    টস- রাজশাহী (ফিল্ডিং) 
    তৃতীয় দিনশেষে 
    বরিশাল ১ম ইনিংস ১৩৩ (নুরুজ্জামান ৩৮, আল-আমিন ৩১, ফরহাদ ৪/৩০, মুক্তার ২/৩১)
    রাজশাহী ১ম ইনিংস* ১২৫/৯ (মুক্তার ৩৫*, সাব্বির ৩১, সোহাগ ৩/১৯, মনির ২/১৫) 


    দুইদিন খেলা শুরুই হতে পারেনি, যেদিন হলো, সেদিন একদিনেই পড়োলো ১৯ উইকেট! বরিশালের উইকেট যেন ব্যাটসম্যানদের জন্য মাইনফিল্ড হয়ে পড়েছিল এদিন। ১৩৩ রানে অল-আউট হয়ে যাওয়ার পর বরিশাল ১২৫ রানেই নিয়েছেন রাজশাহীর ৯ উইকেট। গড়ে প্রায় সাড়ে চার ওভারে পড়েছে একটি করে উইকেট। 

    বরিশালের ১০ উইকেট ভাগ হয়েছে চারভাগে- ফরহাদ রেজা ৪টি, ২টি করে নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম ও মুক্তার আলি। তাদের দুর্দশা বাড়াতে দুইজন হয়েছেন রান-আউট। নুরুজ্জামানের ৩৮ ও আল-আমিনের ৩১ রান ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন ইনিংসও নেই। 

    ব্যাটিংয়ে বরিশাল যা পেয়েছে, বোলিংয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে সেসবই। রাজশাহীর অবস্থা ছিল আরও বাজে, ২৩ রানে পড়েছিল প্রথম ৫ উইকেট। প্রথমে সাব্বির রহমানের ৩১, পরে মুক্তারের অপরাজিত ৩৫ রানে একটু ধাতস্থ হয়েছে তারা। কামরুল ইসলাম রাব্বি, সোহাগ গাজি, তানভীর ইসলাম, মনির হোসেন- উইকেট পেয়েছেন সবাই। 


    দ্বিতীয় স্তর 
    সিলেট-ঢাকা, কক্সবাজার 
    টস- ঢাকা (ফিল্ডিং) 
    তৃতীয় দিনশেষে
    সিলেট ১ম ইনিংস* ২২৯/৪ (জাকির ৮৪*, রাজিন ৬৪*, তাইবুর ১/৪৫) 


    এ ম্যাচেও প্রথম খেলা হয়েছে এদিন। বরিশালের উলটো চিত্র এখানে, পুরোটা জুড়েই ছিল প্রায় ব্যাটিংয়ের আধিপত্য। ওপেনিং জুটিতে ইমতিয়াজ হোসেন ও তৌফিক খান শুরুটা করেছিলেন ভালই, ৭৬ রানের জুটি তাদের। ৫ রানের ব্যবধানে দুজন আউট- তাইবুরের বলে ৩৫ রান করে তৌফিক, শুভাগতর বলে ৪১ রান করে ইমতিয়াজ। 

    মোমেন্টামটা অবশ্য ধরে রাখতে পারেনি ঢাকা, জাকির হাসান ও রাজিন সালেহ হতে দেননি সেটা। তৃতীয় উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি এখন ১৪৭ রানের। জাকির সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে দাঁড়িয়ে, রাজিন ব্যাটিং করছেন ৬৪ রানে। 

    বরিশালের মতো নাটকীয় কিছুও বোধহয় যথেষ্ট হবে না এ ম্যাচে ড্র ছাড়া অন্য ফল আনতে।