তুষার-নাফীসের সেঞ্চুরির পর ড্র প্রথম স্তরের দুইটি ম্যাচই
প্রথম স্তর
খুলনা-রংপুর, খুলনা
টস- রংপুর (ফিল্ডিং)
খুলনা ১ম ইনিংস ৩০৪ (সৌম্য ৭৬, এনামুল ৫৬, জিয়া ৫৩, সাজিদুল ৮১) ও ৩৩৪/৯ (তুষার ১০৩, সৌম্য ৭১, জিয়াউর ৬৩, মাহমুদুল ৪/২৯, তানভীর ২/২৫)
রংপুর ১ম ইনিংস ৩১৫ (জাভেদ ৬৪, তানভীর ৬৭*, আল-আমিন ৪/৬৭, সৌম্য ৫/৬১) ও ২য় ইনিংস (লক্ষ্য ৩২১) ৯১/১ (জাহিদ ৬৪*, আল-আমিন ১/১৮)
ম্যাচ ড্র
আরেকটি সেঞ্চুরি করেছেন তুষার ইমরান। রংপুরের বিপক্ষে জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ অবশ্য শেষ পর্যন্ত হয়েছে ড্রই।
আগেরদিন ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তুষার, এদিন সেঞ্চুরি পেয়েছেন লাঞ্চের আগেই। ৬ষ্ঠ উইকেটে জিয়াউর ও তুষার মিলে তুলেছেন ৭৫ রান। ১০৩ রান করে তানভীরের বলে স্টাম্পড হয়েছেন তুষার, বদলি উইকেটকিপার মীম মোসাদ্দেকের হাতে। ১৭৬ বল খেলে মেরেছেন ৮টি চার। প্রথম শ্রেণিতে এটি ৩১তম সেঞ্চুরি তার।
তুষারের আউটের পরও ছিলেন জিয়া, মেহেদিকে নিয়ে পরের উইকেটে তিনি তুলেছেন ৫৬ রান। মাহমুদুলের বলে আউট হওয়ার আগে জিয়া করেছেন ৬৩ রান। চা-বিরতির সময় ১ উইকেট বাকি রেখে ইনিংস ঘোষণা করেছে খুলনা, রংপুরকে এক সেশনে ৩২১ রানের লক্ষ্য দিয়ে। আগেরদিন ২ উইকেট নেওয়া মাহমুদুল এদিন নিয়েছেন আরও ২টি উইকেট।
এক সেশন ব্যাটিংয়ের পুরো ব্যবহার করেছে রংপুর, আরও নির্দিষ্ট করে বললে সেটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন ওপেনার জাহিদ জাভেদ। ৬৬ বলে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রানে, মেরেছেন ৮টি চার। প্রথম ইনিংসেওও জাভেদ করেছিলেন ৬৪ রান।
এই ম্যাচ ড্রয়ের পর প্রথম স্তরে এখন সবার শেষে রংপুর, খুলনা আছে দুইয়ে।
ক্যারিয়ারে ৩২তম সেঞ্চুরি তুষারে
প্রথম স্তর
রাজশাহী-বরিশাল, বরিশাল
টস- রাজশাহী (ফিল্ডিং)
বরিশাল ১ম ইনিংস ১৩৩ (নুরুজ্জামান ৩৮, আল-আমিন ৩১, ফরহাদ ৪/৩০, মুক্তার ২/৩১) ও ২য় ইনিংস ২২৯/৭ (নাফীস ১০২, শামসুল ৬২, সাব্বির ৩/১৯, তাইজুল ৩/৫৫)
রাজশাহী ১ম ইনিংস ১৫৫ (মুক্তার ৫৯*, সাব্বির ৩১, তানভীর ৩/৪২, সোহাগ ৩/৪১)
ম্যাচ ড্র
কার্যত দুই দিনে নেমে আসা ম্যাচে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন শাহরিয়ার নাফীস। রাজশাহীর বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি করেছেন বরিশাল ওপেনার। ১৬১ বলে ১২ চার ও ৩ ছয়ে নাফীস করেছেন ১০২ রান, ফরহাদ হোসেনের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে।
নাফীসের আগে দিনের শুরুটা ছিল মুক্তার আলির। আগের দিন ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি, শেষ উইকেটে আব্দুল গাফফারকে নিয়ে এদিন তিনি যোগ করেছেন আরও ৩০ রান, এর মাঝে ২৪ রানই তার। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে, ৭০ বলে। ৮৫ রানে ৯ উইকেট হারানো রাজশাহী শেষ পর্যন্ত পেয়েছিল প্রথম ইনিংসে ২২ রানের লিড।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ভাল হয়নি বরিশালের, ১৬ রানের মাঝে ফিরেছেন ওপেনার রাফসান। দ্বিতীয় উইকেটে শাহরিয়ার নাফীসের সঙ্গে ১৪২ রান যোগ করেছেন শামসুল ইসলাম। ৬২ রান করে আউট হয়েছেন তিনি, তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে।
তাইজুলের মতো ৩ উইকেট নিয়েছেন সাব্বির রহমানও। সাব্বিরের বোলিংয়ে মিডল ও লেট-মিডল অর্ডারে দ্রুত উইকেট হারিয়েছে বরিশাল। তবে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট বাকি ছিল তাদের, ম্যাচ ড্র হওয়ার আগে। এই ম্যাচের পর শীর্ষেই আছে রাজশাহী, বরিশাল তিনে।