• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    "জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জিতলে ঠিক আছে, হারলে ভিন্ন কথা হবে"

    "জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জিতলে ঠিক আছে, হারলে ভিন্ন কথা হবে"    

    এবং আবারও সামনে জিম্বাবুয়ে। 

    বাংলাদেশের খুব চেনা প্রতিপক্ষ তারা, দেখা-সাক্ষাত হয় নিয়মিতই। দুই দলের লড়াইয়ের চিত্রটাও এখন ভিন্ন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ১১তম ম্যাচে গিয়ে প্রথম জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ, ২০০৪ সালে। সেই বাংলাদেশই গত ১০ ওয়ানডেতে হারেনি জিম্বাবুয়ের কাছে। 

    নিজেদের শেষ সিরিজের পারফরম্যান্সেও আছে বৈপরীত্য। এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ, আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে এসেছে জিম্বাবুয়ে। এর আগে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বও পেরুনো হয়নি তাদের। অবশ্য জিম্বাবুয়ে দলে বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্ব কাটিয়ে ফিরেছেন সিনিয়র সব ক্রিকেটার, সিকান্দার রাজাকেও পরে নেওয়া হয়েছে দলে। 

    বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মানছেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা বলে উচ্চাশার বাস্তবতাটা, “সবার প্রত্যাশা, আমরা জিতব এবং জেতার আশাই করছে সবাই। সেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, অন্য দলের সাথে যেই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে খেলেছি, গত এশিয়া কাপে যেভাবে খেলেছি, সেটাই থাকবে। আর ওদের প্রায় সব সিনিয়র প্লেয়াররা ফিরেছে। আমাদের শতভাগ দিয়েই খেলতে হবে। হয়তো জিতলে সবাই বলবে, এটাই হওয়ার কথা ছিল। হারলে কিন্তু ভিন্ন কথা হবে, এটাই স্বাভাবিক।”

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতার চ্যালেঞ্জের সঙ্গে আছে দলের অন্যতম দুই মূল ভরসাকে ছাড়াই খেলতে নামার চ্যালেঞ্জ। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়াই এশিয়া কাপে খেলার একটা অনুশীলন হয়ে গেছে বাংলাদেশের, তাদেরকে ছাড়াই দল খেলেছে ফাইনালেও। প্রত্যাশাটা সেখানে আরও বেড়ে গেছে বলে ধারণা মাশরাফির, “এশিয়া কাপে ওদের দুইজনকে ছাড়া যেভাবে যেই ধরনের ক্রিকেট খেলে এসেছি, এরপর এই ধরনের সিরিজ খেললে এবং খারাপ হলে অনেক কথা ওঠে। ‘ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে’ কিন্তু এই একটা কথাই চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

    “কিন্তু আমার মতে, ওই জায়গাটায় কাজ করা প্রয়োজন। জিম্বাবুয়ের কাছে এমন না যে আমরা কখনো হারিনি বা হারতে পারব না, এমন কিছু না। ওদের যেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে, এখানে একজন যদি সেঞ্চুরি করে সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একশ হিসেবেই গণ্য হবে, কেউ যদি পাঁচ উইকেট পায় তাহলে পাঁচ উইকেটই গণ্য করা হবে। এইগুলো যেই প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই খেলি না কেন, এইগুলো করা কিন্তু কঠিন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিজেকে ‘বুস্ট আপ’ করা জরুরী। 

    “আর আমার কথা যদি বলেন, আমি বলব আমাদের জন্য এই সিরিজটাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের আগে এমন ৪টি সিরিজ আছে খেলার মত, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রস্তুত হওয়ার জন্য। আর আমাদের জন্যও ভালো হয়েছে। ওরা ওদের সেরা দলটা পাঠিয়েছে।”

    জিম্বাবুয়ে সেরা দলটা পাঠিয়েছে, বাংলাদেশ দলে নেই মূল দুইজন ক্রিকেটার। তবুও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জয় মানে “স্বাভাবিক”, আর হার মানে “ভিন্ন কিছু”।