• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    তুষার-সৌম্য-এনামুলের ফিফটি, সোহাগের ৫ উইকেট

    তুষার-সৌম্য-এনামুলের ফিফটি, সোহাগের ৫ উইকেট    

    ১ম স্তর

    খুলনা-রাজশাহী, খুলনা 
    টস- খুলনা (ব্যাটিং) 
    ১ম দিনশেষে
    খুলনা ১ম ইনিংস* ২৮১/৭ (তুষার ৭১, সৌম্য ৬৬, এনামুল ৫৬, সানজামুল ৩/৭৩, রেজা ২/৩৭)


    এনামুল হক, সৌম্য সরকার, তুষার ইমরান- ফিফটি করেছেন তিনজনই। তবে সেঞ্চুরি পাননি কেউ। ১ম দিনশেষে তাই মিশ্র অনুভূতি খুলনার, ২৮১ রান তুললেও তারা হারিয়েছে ৭ উইকেট। সানজামুল ইসলাম নিয়েছেন ৩ উইকেট, ফরহাদ রেজা ২টি।

    রাজশাহী শুরুতেই পেয়েছিল ব্রেকথ্রু, ১২ রানে ওপেনার মেহেদি হাসান বোল্ড হয়েছেন শফিউল ইসলামের বলে। দ্রুত ব্রেকথ্রুর স্বাদ রাজশাহীকে এরপর ভুলিয়েছেন এনামুল ও সৌম্য। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের জুটি ১১২ রানের। ৯৬ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৬৬ রান করে রেজার বলে ক্যাচ দিয়েছেন সৌম্য। 

    তুষারের সঙ্গে ৩৬ রান যোগ করে ফিরেছেন এনামুলও, ৫৬ রান করে সানজামুলের বলে বোল্ড হয়ে। আফিফ হোসেনও ফিরেছেন ১৪ রান করেই। নুরুল হাসান তুষারকে সঙ্গ দিয়েছেন ৩৯ রানের জন্য, মুক্তার আলির বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে। জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটির পর, নিজে ৭১ রান করার পর সানজামুলের বলে বোল্ড হয়েছেন তুষার। 

    দ্বিতীয় নতুন বলে শুরুতে সফল হয়েছে রাজশাহী, নাহিদুল হাসান এলবিডব্লিউ হয়েছেন রেজার বলে। তবে খুলনার ভরসা হয়ে টিকে আছেন জিয়া, ৩৭ রানে।  

     

    রংপুর-বরিশাল, রংপুর 
    টস- বরিশাল (ফিল্ডিং)
    ১ম দিনশেষে  
    রংপুর ১ম ইনিংস ১৪৭ (রাকিন ৪৬, নাঈম ৩৯, সোহাগ ৫/৪০, মনির ২/১১) 
    বরিশাল ১ম ইনিংস* ৩৫/২ (রাফসান ১৪*, শুভাশীষ ২/১৩) 
    বরিশাল ১ম ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়ে ১১২ রানে পিছিয়ে 


    সোহাগ গাজির বোলিং তোপে পড়ে ১৪৭ রানে অল-আউট হয়ে গেছে রংপুর। শুভাশীষ রায় এরপর কিছুটা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, ১৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর অবশ্য রাফসান ও আল-আমিনের ব্যাটিংয়ে একটু ধাতস্থ হয়েছে বরিশাল। ২ উইকেটে ৩৫ রানে দিন শেষ করেছে তারা। 

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের শুরুটা ভাল হয়নি, ৩১ রানের ভেতর আউট হয়েছেন মেহেদি মারুফ ও মাহমুদুল হাসান। তৌহিদ হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন নিয়েছেন এ দুই উইকেট। রাকিন আহমেদ ও নাঈম ইসলাম ইনিংস মেরামতের কাজ করেছিলেন বেশ খানিকটা, ৪৬ রান করা রাকিনকে বোল্ড করে ৬২ রানের জুটি ভেঙেছেন মনির হোসেন। রংপুরের ধস শুরু হয়েছে এরপরই। আর দৃশ্যপটে হাজির হয়েছেন সোহাগ। 

    ৩৯ রান করে নাঈম দিয়েছেন ক্যাচ, তানভীরের রান-আউট দুর্দশা বাড়িয়েছে রংপুরের। সোহরাওয়ার্দি শুভ ক্যাচ দিয়েছেন, পরের বলেই এলবিডব্লিউ সাজিদুল ইসলাম। ৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়েছে রংপুর। ধীমান ঘোষ ও রবিউল হককে পরপর দুই ওভারে এলবিডব্লিউ করে পাঁচ পূর্ণ করেছেন সোহাগ, ক্যারিয়ারে এটি তার ২১তম ৫ উইকেট। শুভাশীষকে এলবিডব্লিউ করে কাজ শেষ করেছেন মনির। 

    তৃতীয় ওভারে রাকিনের হাতে শুভাশীষের বলে ক্যাচ দিয়ে বরিশালকে চাপে ফেলেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। শুভাশীষ সেটা বাড়িয়েছেন শামসুল ইসলামকে বোল্ড করে। পরের ৭ ওভার অবশ্য উইকেট ছাড়াই কাটিয়েছে বরিশাল।