• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    ফেরার সময় বেঁধে দিচ্ছেন না সাকিব, তবে...

    ফেরার সময় বেঁধে দিচ্ছেন না সাকিব, তবে...    

    এই তো, দুই দিন আগেই সাকিব আল হাসান হাসতে হাসতে বলছিলেন, দ্রুতই সেরে উঠছেন চোট থেকে। এই বছর আর না খেলার যে শঙ্কার মেঘ জমা হচ্ছিল, সেটা কেটে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। কাল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বহুজাতিক মুঠোফোন কোম্পানি হুয়াইয়ের একটা অনুষ্ঠানে ভক্তদের সঙ্গে ফুটবলও খেললেন। সেখানেই বললেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই ফিরতে পারেন, সামনের সপ্তাহ থেকে অনুশীলনও শুরু করার পরিকল্পনা আছে। তবে ঠিক কবে ফিরবেন, সেটার কোনো সময়সীমা বেঁধে দিতে চান না বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।

    এশিয়া কাপ পাকিস্তানের সঙ্গে অঘোষিত সেমিফাইনালের আগেই হঠাৎ আঙুলের সেই পুরনো চোটে খেলতে পারলেন না। এই চোটই এই বছর দেশের মাটিতে টেস্ট খেলতে দেয়নি সাকিবকে, দিচ্ছে না জিম্বাবুয়ে সিরিজেও। তারপর চোট নিয়ে সাকিবের বক্তব্য, বিসিবি সভাপতির আত্মপক্ষ সমর্থন- এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। অস্ত্রোপচার করাতে হলে লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে যাওয়ারও আশঙ্কা ছিল। তবে আপাতত সেই সম্ভাবনা নেই। এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি, তাতে বিশ্বকাপের আগে সার্জনের ছুরির নিচে সাকিবের যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এমনকি এই মাসেই ফিরতে পারেন মাঠে। এই মাসের ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। তাতে খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না সাকিব, ‘মাঠে ফেরার সময়সীমা নেই। যদি ফিরতে পারি তাহলে ভাল লাগবে। আশা তো থাকবেই যেন ফিরতে পারি। এখনই বলা মুশকিল যে আমি খেলব, এই গ্যারান্টি আসলে নেই। তবে যেভাবে উন্নতি হচ্ছে, তাতে সম্ভাবনা তো আছেই।’

     

    আপাতত চোট থেকে সেরে উঠলেও সাকিব এখনও ঠিক নিশ্চিত নন, খেলার মতো আসতে কতদিন লাগবে। তবে অনুশীলন শুরু করতে চান পরের সপ্তাহেই, ‘নেক্সট উইক থেকে স্ট্রেন্থ ট্রেনিং শুরু করতে হবে। এরপর যখন উন্নতি হতে থাকবে, ধীরে ধীরে একটার পর একটা, যখন দেখব যে সব দিক থেকেই খেলার ক্ষেত্রে আমার কোন প্রবলেম হচ্ছে না, তখনই আসলে খেলার কথা চিন্তা করব। তাঁর আগ পর্যন্ত আমিও খেলতে চাইব না, সেও আমাকে দিবে না। এই কারণে আসলে আমরা কেউই সময়টা বলতে পারছি না। এমনও হতে পারে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকে খেলতে পারি, সেকেন্ড টেস্টেও খেলতে পারি। হতে পারে ওয়ানডে পর্যন্তও না খেলতে পারি। কিন্তু আমি আবারো বলছি, উন্নতি যেভাবে হচ্ছে সেই অনুযায়ী খুব বেশি সময় লাগার কথা না।’

    আরও একটা স্বস্তির খবর পেয়েছেন সাকিব। এই বছরের শেষে আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার ব্যাপারে বোর্ড তাঁকে অনাপত্তিপত্র দিতে পারে, কাল এমন একটা আভাস দিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। সাকিব আবারও বললেন, ছন্দে আসার জন্যই এই টুর্নামেন্টে খেলতে চান, ‘অবশ্যই স্বস্তির। ভাল দিক হচ্ছে যদি ওই সময়ের আগে আগে ফিট হতে পারি, যদি কিছু ম্যাচ খেলতে পারি, ওই ম্যাচ গুলোও যদি খেলতে পারি, তাহলে ভাল প্রস্তুতি হবে। প্রস্তুতি এই অর্থে,  যেহেতু খুব বড় একটা ইনজুরি থেকে এখন সেরে উঠছি, তো এই খেলা গুলো আমার দরকার।  না খেলার কারণে আমার বেশ বড় একটা বিরতি হয়ে যাচ্ছে। ছন্দে আসার জন্য আমার এই খেলা গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

    আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলতে পারেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।