"শুরুতেই পাঁচ-ছয়টা উইকেট পড়ে যেতে পারতো বাংলাদেশের"
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, তিন পেসারের জিম্বাবুয়ে তার সিদ্ধান্তকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছিল প্রথম ঘন্টার খেলায়। যার নেতৃত্বে ছিলেন কাইল জারভিস। লাইন-লেংথের ঠিক চ্যানেলের সঙ্গে সিম মুভমেন্ট আদায় করেছেন, মিলেছে সফলতাও। ইমরুল, লিটন, মিঠুন- কিছু বুঝে উঠার আগেই ফিরেছেন তিনজন। সিলেটের মতো মিরপুরেও বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছিল আরেকটি ধস।
লাঞ্চের আগের সময়টা ছিল বেশ কঠিন, সেটা কাটিয়ে উঠেছেন মুমিনুল-মুশফিক। লাঞ্চের পরও চালিয়ে গেছেন সেটা, শুরু করেছিলেন আক্রমণও। জিম্বাবুয়ে ব্রেকথ্রু পায়নি। চা-বিরতির পরপর ব্রেকথ্রু পেলেও হয়তো ম্যাচে ফিরতে পারতো জিম্বাবুয়ে, হয়নি সেটাও। কঠিন অবস্থা থেকে বের হয়ে এসে উলটো জিম্বাবুয়েকেই চাপে রেখেছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম।
ব্রেকথ্রু পেতে ৮৬তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে জিম্বাবুয়েকে। মিরপুরে শুরুর মতো শেষেও উইকেট মিলেছে জিম্বাবুয়ের, তবে তার আগেই যা ক্ষতিটা তাদের জন্য করে ফেলেছেন মুশফিক-মুমিনুল। বাংলাদেশের জোড়া সেঞ্চুরিয়ানকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন ৪৮ রানে ৩ উইকেট নেওয়া জারভিসও।
“সকালে একটু ময়েশ্চার ছিল, সিম বোলিংয়ের জন্য সকালটা সহায়ক ছিল। কৃতিত্ব মুমিনুল ও মুশফিককে দিতে হবে। কঠিন সময়ে তারা ব্যাটিং করেছে, খুবই বুঝেশুনে ব্যাটিং করেছে। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। শুরুতেই পাঁচটা-ছয়টা উইকেট পড়ে যেতে পারতো”, দিনের শেষে বলেছেন জারভিস।
জিম্বাবুয়ে দিনের শেষবেলায় নিয়েছে দুই উইকেট, দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর। সিমারদের জন্য সারাদিনই মোটামুটি সহায়তা ছিল বলে ধারণা জারভিসের, “তারা খুবই ভাল ব্যাটিং করেছে। আমরা অবশ্য মোটেই ভাল বোলিং করিনি সে সময়। তাদেরকে স্কোরিংয়ের সুযোগ দিয়েছি, যেখানে রান বেশি দেওয়া উচিৎ হয়নি আমাদের।”
সুযোগটা দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছেন মুমিনুল ও মুশফিক। শর্ট বা ওয়াইড, কিংবা ড্রাইভিং লেংথ- জিম্বাবুয়ে আলগা বল করলেই সেগুলোর মূল্য বুঝিয়ে দিয়েছেন দুজন মিলে। মুমিনুল ফিরলেও অপরাজিত রয়ে গেছেন মুশফিক। শেষে পাওয়া দুই উইকেটও তাই ঠিক সন্তুষ্ট করতে পারছে না জারভিসকে, “সেশনের ওই ছোট ভাগটা আসলে আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রথম ঘন্টায় আমরা জিতেছি, এরপর শেষ ঘন্টার শেষের আগে জিতেছে তারাই। দিনের প্রায় পুরো অংশই তাদের।”