সেভিয়ার হোঁচটে শীর্ষে বার্সেলোনা
নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল বার্সা। লুইস সুয়ারেজকে ছাড়াও জিততে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি এর্নেস্তো ভালভার্দের দলের। আজকের জয়ে ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে বার্সা আছে সবার ওপরেই। আলাভেসের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে সেভিয়া।
নিজেদের মাঠে আজ ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে সুয়ারেজের জায়গায় কে খেলবেন- তা নিয়েই ছিল শত জল্পনা-কল্পনা। শেষ পর্যন্ত উসমান ডেম্বেলে এবং ফিলিপ কুতিনিয়োকে দুই উইংয়ে খেলিয়ে লিওনেল মেসিকে ‘ফলস ৯’ হিসেবে খেলিয়েছেন ভালভার্দে। আক্রমণভাগে উইং ছেড়ে মাঝে চলে আসা মেসি ম্যাচের শুরু থেকেই ছিলেন ভয়ঙ্কর। ম্যাচের ৮ মিনিটে মেসির জোরাল শট দক্ষ হাতে ফিরিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সার্জিও আসেনহো। তবে প্রতি-আক্রমণে ভিয়ারিয়ালও হাল ছেড়ে কথা বলেনি। ম্যাচের ১৩ মিনিটে ভাগ্য সহায় হলে তখনই লিডটা নিতে পারত তারা। ক্লেমেন্ত লংলে এবং মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগানের ভুলে ডিবক্সে বল পেয়ে যান ভিয়ারিয়াল স্ট্রাইকার জেরার্ড মরেনো। কিন্তু তার শট প্রতিহত হয় বারপোস্টে।
মরেনোর এই প্রচেষ্টার পরই যেন নড়েচড়ে বসে বার্সা। ১৭ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ থেকে ইভান রাকিটিচের আগুনে শট চলে যায় গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে। বার্সার আক্রমণ সামলাতে রীতিমত ‘বাস পার্ক’ ট্যাকটিক্স অবলম্বন করেন ভিয়ারিয়াল কোচ হাভিয়ের কায়েহা। লাভ কিছুটা হলেও হয়েছে তাতে। ৩১ মিনিটে ডেম্বেলের শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার কাসেরেস। তবে ৩৩ মিনিটে আর দমিয়ে রাখা যায়নি বার্সাকে। ডেম্বেলের ক্রসে দারুণ হেডে আসেনহোকে পরাস্ত করেন জেরার্ড পিকে। লা লিগার ডিফেন্ডারদের মধ্যে কেবল সার্জিও রামোসের (৫) গোলসংখ্যাই বেশি পিকের চেয়ে (৪)।
লিড নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত বার্সা। কিন্তু ৩৯ মিনিটে মেসির একটি শট দারুণভাবে লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন আসেনহো। প্রথমার্ধে বার্সার অন্তত দুটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও বার্সাকে গোলবঞ্চিত করেন আসেনহো। ৪৭ মিনিটে মেসির ক্রস থেকে আর্তুরো ভিদালের হেড অবিশ্বাস্যভাবে ফিরিয়ে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক। আসেনহোর কারণেই ম্যাচে টিকে ছিল ভিয়ারিয়াল। তবে আক্রমণভাগে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ‘ইয়েলো সাবমেরিন’রা। পিকে-লংলেদের তেমন পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেননি মরেনোরা।
মাঝমাঠে রাকিটিচ-ভিদালদের কাছে পাত্তাই পায়নি তারা। তবে ভিয়ারিয়ালের জমাট রক্ষণের জন্য ব্যবধানটা দ্বিগুণ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল বার্সাকে। তবে ৮৭ মিনিটে সে আক্ষেপটাও ঘুচিয়ে দেন মেসি। মাঝমাঠ থেকে মেসির দুর্দান্ত এক ডিফেন্সচেরা পাসে আসেনহোকে একা পেয়ে যান বদলি খেলোয়াড় কার্লোস আলেনা। বাঁ-পায়ের বুদ্ধিদীপ্ত চিপে জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ইনজুরি থেকে ফিরেই দলের জয়ে অবদান রাখলেন তরুণ এই মিডফিল্ডার, বার্সাও উঠে গেল টেবিলের শীর্ষে।