• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    একাদশে সুযোগ পাবেন, ভাবেনইনি বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান

    একাদশে সুযোগ পাবেন, ভাবেনইনি বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান    

    বিপিএলে যে পাঁচ ম্যাচে খেলেছিলেন, তাতে তাঁর রান ছিল মাত্র ১৩। একাদশে সুযোগ পাবেন, লরি এভান্স বোধ হয় নিজেও আশা করেননি। কিন্তু আরেকটা সুযোগ পেলেন ওপেনিংয়ে। এর চেয়ে এটি আর দু হাত ভরে নিতে পারতেন না। বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করলেন, যেটি আবার নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। এভান্স পরে বলেছেন, কাল দুপুরে প্রথম একটু ভালো বোধ করছিলেন অনুশীলনের পর। সেই দুপুরের পরেই এমন বিস্ফোরণ।

     

     

    এভান্সের জন্য দিনটা কঠিনই যাচ্ছিল। ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে সবচেয়ে বেশি রান ছিল তাঁর। এরপর রান পেয়েছিলেন আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগেও। এর মধ্যে বিয়ে করেছেন, খেলায়ও একটা বিরতি গেছে। নিজেই বলেছেন, সময়টা কঠিন ছিল, ‘কালকেই প্রথম আমি একটু ভালো বোধ করতে শুরু করি অনুশীলনে। এপিএল আর টি টেনের পর একটা বিরতি পড়েছে খেলায়। এর পর বিয়ে করেছি। এখানে আমি আসলে খুব একটা ফর্ম নিয়ে আসেনি। উইকেটও ছিল কঠিন, আমি দেশে যে ধরনের উইকেট নিয়ে খেলি তার চেয়ে অনেকটাই আলাদা। আমি শুধু নিজের মূল জায়গাটা ঠিক রাখতে পেরেছি। এরপর ভালো অবস্থানে যেতে পেরেছি। আজ টপ অর্ডারে ছিল আমার জন্য দারুণ একটা সুযোগ। আমার মনে হয় পরিশ্রমেরই ফসল পেয়েছি। ’

    প্রথম পাঁচ ম্যাচে রানখরার পর আজ যে সুযোগ পাবেন, সেটি এভান্স নিজেও আশা করেননি, ‘অবশ্যই, প্রথম সেঞ্চুরি তো স্পেশাল তো বটেই। আমি আগেও একবার কাছাকাছি গিয়েছিলাম। আমি কোচ ও দলের কর্তাদের ওপর আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ আমার মনে হয় আগে যেরকম রান করেছিলাম, তাতে আমি আজকে সুযোগ পাওয়ার দাবি রাখে।’

    টেন ডেসকাটকে নিয়ে ১৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন যে জুটি গড়েছেন, সেটি বিপিএলের চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ। সেজন্য সতীর্থ ডেসকাটকেও দিয়েছেন ধন্যবাদ, ‘অন্য পাশে ডেসকাটের মতো একজন চেনা মুখ থাকায় আমার কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। আমরা ওদের ওপর চাপ দিতে পেরেছি। শেষ পর্যন্ত সেটি হয়ে গেছে জয়ের জন্য যথেষ্ট।’

    প্রথম ১০ ওভারে রান ছিল ৩ উইকেটে ৫০। পরের ১০ ওভারে রান হলো ১২৭। এভান্স বলেছেন, কুমিল্লার পেসাররা আসার পর ঠিক করেছেন, এবার একটু দ্রুত ব্যাট চালাবেন। বিশেষ করে এই কুমিল্লার কাছে আগের ম্যাচটা সহজেই হেরে গিয়েছিলেন। এরপর এমন ঘুরে দাঁড়ানো আরও বেশি তৃপ্তি দিয়েছে তাঁকে, ‘এটা তো অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার। আমরা শীর্ষ চারের আশেপাশে ছিলাম। আগের বার কুমিল্লাকে আমরা যেভাবে হারিয়েছি, ওরা বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমরাও নিজেদের সেরা দলটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ভালো একটা রান পেয়ে সেটা আমরা আগলাতে পেরেছি।’

    এভান্সের নিজের জন্য সপ্তাহটা এর চেয়ে বেশি মধুর হতে পারত না। নিজে আর্সেনাল সমর্থক, দল এই সপ্তাহে হারিয়েছে চেলসিকে। স্ত্রীর দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও জিতেছে। আর প্রথম সেঞ্চুরির আনন্দ তো ছাপিয়ে গেছে সবকিছুকেই!