• বিপিএল ২০১৯
  • " />

     

    'অলরাউন্ডার' তানভীরে সিলেটের বড় জয়

    'অলরাউন্ডার' তানভীরে সিলেটের বড় জয়    

    সিলেট সিক্সার্স ১৮০/৬, ২০ ওভার (রয় ৪২, আফিফ ২৮, লিটন ২৪, তানভীর ২৩*, মোস্তাফিজ ২/৪৩, ডেসকাটে ১/১৭) 
    রাজশাহী কিংস ১০৪ অল-আউট, ১৮.২ ওভার (রাব্বি ৫০, জাকির ১৬, তানভীর ৩/১৭, নওয়াজ ৩/২২) 
    সিলেট ৭৬ রানে জয়ী 


     

     

    আবার অধিনায়ক বদলালো সিলেট, এবার সে দায়িত্ব পেলেন অলক কাপালি। নতুন অধিনায়কের অধীনে ‘নতুন’ সিলেট পেল বড় জয়। আগেরদিন অধিনায়কত্ব করেছিলেন সোহেল তানভীর, এদিন সেই তিনিই সিলেটের জয়ে রাখলেন বড় অবদান। 

    জ্যাসন রয়ের ছোটখাট ঝড়ে শুরু, সোহেল তানভীরের ক্যামিওতে শেষ করা ইনিংসে ১৮০ রান তোলা সিলেট পরে রাজশাহীকে আটকে দিয়েছে ১০৪ রানেই। বোলিংয়েও ছিলেন তানভীর, তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট। সমান উইকেট মোহাম্মদ নওয়াজেরও, যিনি ১ ওভারেই নিয়েছেন সবকটি। ৯ ম্যাচে এটি সিলেটের তৃতীয় জয়, সমানসংখ্যক ম্যাচে রাজশাহীর এটি পঞ্চম পরাজয়। 

    অথচ টসে জিতে বোলিং নিয়েছিলেন রাজশাহী কিংস অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ, এ উইকেটে তাড়া করবেন বলে। লিটন দাস শুরুটা ঝড়ো করলেও ব্রেকথ্রু পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি রাজশাহীকে। আরাফাত সানির বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন সাব্বির রহমান, উইকেটটা রাজশাহী পেয়েছে রিভিউ নিয়ে। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে ধোঁকা খেয়েছেন লিটন, ১৩ বলে ২৪ রান করে ফ্লিক করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন মিরাজের হাতে। 

    জ্যাসন রয় ও আফিফ হোসেনের জুটিতে এরপর উঠেছে ৬২ রান। রয় ছয় মেরেছেন দুইটি, স্পিনে সামনে এগিয়ে এসে। সেকুগু প্রসন্নকেও একইভাবে মারতে গিয়ে বল ডেকে এনেছেন স্টাম্পে, তার আগে করেছেন ২৮ বলে ৪২। প্রসন্নকে এক ওভারে দুই ছয় মেরে পুরান উড়ান শুরু করেছিলেন, এরপরের ওভারে আফিফ ছয় মেরেছেন মিরাজকে। তবে ১৪-১৬, এই তিন ওভারে মাত্র ৯ রান তুলতে পেরেছিল সিলেট, তাদেরকে নাগালের মধ্যে আটকে দেওয়ার পথে ভালভাবেই ছিল রাজশাহী। 

    তবে রাজশাহী এলোমেলো বোলিং শুরু করলো এরপরই। মোস্তাফিজ নওয়াজকে ফেরালেন, ১৮তম ওভারে দিলেন ৯ রান। তবে শেষ ওভারে যেন ‘নতুন’ মোস্তাফিজ, সে ওভারে গুণলেন ২২ রান! শেষ ৪ ওভারে সিলেট তুললো ৫৬ রান!  

    রাজশাহীর অনেক বড় প্রত্যাশা যার ওপর, সেই লরি এভান্স ফিরেছেন প্রথম ওভারেই, তানভীরের লেংথ বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মারতে গিয়ে মিড-অফে ক্যাচ দিয়ে। দলে যাওয়া আসার মধ্যে থাকা মুমিনুল তাসকিনের ফুলটসে সরে গিয়ে স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট ফাইন লেগে। চাপে পড়া রাজশাহীকে এরপর উদ্ধার করতে পারেননি কেউই। ডেসকাটে বোল্ড হয়েছেন কাপালিকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে, ১০ ওভারে রাজশাহী তুলেছে ৬৬ রান। 

    ফজলে রাব্বি ও জাকির হাসানের জুটি কিছুক্ষণ উইকেটের লাগাম টেনে ধরেছিল, তবে রান-বলের পার্থক্যটা বাড়ছিলই শুধু। তাসকিন এসে ফেরালেন জাকিরকে, ১৫তম ওভারে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো রাজশাহী। মোহাম্মদ নওয়াজ ৫ বলের ব্যবধানে নিলেন ৩ উইকেট। 

    প্রথমে রাব্বি, পরের বলে ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কার। শেষটা হলো মিরাজকে দিয়ে। এরপর সিলেটের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রসন্ন ও আরাফাত সানিকে তানভীর ও রাব্বিকে আউট করে কাপালি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের বড় জয়।