ফিরেই গোল করলেন বেল
প্রায় একমাস পর রিয়াল মাদ্রিদের স্কোয়াডে ফিরেছিলেন তিনি। প্রথম একাদশে সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমেই গোল পেলেন গ্যারেথ বেল। করিম বেনজেমার জোড়া গোল ও বেল, রামোসের গোলেই এস্পানিওলকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে রিয়াল।
ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে এস্পানিওল রক্ষণকে এক মুহূর্তের জন্যও স্বস্তিতে রাখেনি রিয়াল। তিন মিনিটের মাথায় ভিনিসিয়াস জুনিয়রের শট ঠেকিয়ে দেন লোপেজ। পরের মিনিটেই লুকা মদ্রিচকেও হতাশ করেন তিনি। তার শট ঠেকিয়ে দিলেও সেই বল যায় বেনজেমার পায়ে, ছয় গজ দূর থেকে অনায়াসেই বল জালে জড়ান তিনি। ১৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সার্জিও রামোস। বক্সের বাইরে থেকে মদ্রিচের ক্রসে রামোসের হেড লোপেজকে পরাস্ত করে।
২৪ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় এস্পানিওল, লিও ব্যাপ্টিসটাওয়ের শট ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া। ২৫ মিনিটে এক গোল শোধ করে এস্পানিওল, বক্সের ভেতরে পাওয়া বলে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করেন ব্যাপ্টিসটাও। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আবার দুই গোলের লিড ফিরে পায় রিয়াল। বক্সের ভেতর থেকে বেনজেমার বুদ্ধিদীপ্ত শট লোপেজকে বোকা বানায়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে মদ্রিচকে আবার গোলবঞ্চিত করেন লোপেজ। ৬৪ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন বেল। নামার তিন মিনিটের মাথায়ই গোলের দেখা পান তিনি। লুকাস ভাসকেজের বাড়ান বলে তার বাঁ পায়ের শটেই চতুর্থ গোল পায় রিয়াল, জয়ও নিশ্চিত হয়ে যায় অনেকটাই।
৮১ মিনিটে গোল করে শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন রবার্তো রোজালেস। মার্ক রোকার থ্রুতে বল পেয়ে গোল করেন তিনি। ৮৮ মিনিটে ভাসকেজের শট লোপেজ ঠেকিয়ে না দিলে জয়ের ব্যবধানটা আরও বাড়তে পারত রিয়ালের। এই জয়ে ২১ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে রিয়াল। এখনো অবশ্য শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে দশ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে তারা।