• লা লিগা
  • " />

     

    রিয়ালের বিপক্ষেই অভিষেক 'অ্যাটলেটিকো'র মোরাতার

    রিয়ালের বিপক্ষেই অভিষেক 'অ্যাটলেটিকো'র মোরাতার    

    রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে চেলসিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মূল একাদশে নিয়মিত হতে। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে তো থিতু হতেই পারেননি, উল্টো জায়গা মেলেনি স্পেনের রাশিয়া বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও। সব মিলিয়ে গত বছর দুয়েক খুব একটা ভাল যায়নি আলভারো মোরাতার। সাবেক ফুটবলারের এমন দশায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। চেলসি থেকে দেড় বছরের ধারে আবারও মাদ্রিদে ফিরে এলেন তিনি। মাদ্রিদে নিজের 'নতুন' অধ্যায়ের শুরুটা বেশ রোমাঞ্চকরই হতে যাচ্ছে মোরাতার। সাবেক ক্লাব রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই অ্যাটলেটিকোর জার্সিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে মোরাতার। ৯ ফেব্রুয়ারি ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে একে অপরের মুখোমুখি হবে রিয়াল এবং অ্যাটলেটিকো। 

     

     

    অ্যাটলেটিকোর সমর্থকদের কাছে মোরাতা অবশ্য অপরিচিত কেউ নন। রিয়ালের একাডেমী থেকে উঠে আসলেও মোরাতার ফুটবলে হাতেখড়িটা হয়েছিল অ্যাটলেটিকোতেই। ২০০৫ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে 'লস রোহিব্লাঙ্কোস'দের যুবদলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বছর দুয়েক পর চলে যান গেটাফের একাডেমিতে। এরপর ২০০৮ সালে তাকে কিনে নেয় রিয়াল, মোরাতার নতুন ঠিকানা হয় রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়া। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে রিয়ালের মূল দলে অভিষেক হয় তার। তবে পরের তিন বছর কাটাতে হয় কাস্তিয়াতেই, মূল দলে জায়গা মিলত কালেভদ্রে। ২০১৩-১৪ মৌসুম থেকে করিম বেনজেমার 'আন্ডারস্টাডি' হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি। ছিলেন 'লা ডেসিমা' জেতা স্কোয়াডেও।

     

     

    রিয়ালের মূল একাদশে সুযোগের অভাবে পাড়ি জমান জুভেন্টাসে। তুরিনেই খুব সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটিয়েছিলেন তিনি। সিরি আ, ইতালিয়ান কাপ এবং সুপারকাপ জিতেছিলেন দু'বার করে। খেলেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও। সেবার সাবেক দল রিয়ালের মাঠে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জুভেন্টাসের হয়ে গোলও করেছিলেন মোরাতা। বছর দুয়েক পর আবারও ফিরেছিলেন রিয়ালে। শিরোপার অভাব না হলেও অভাব ছিল মূল একাদশে সুযোগের। তাই আবারও বিদায় জানান রিয়ালকে, এবারের ঠিকানা চেলসি। সেখান থেকেই যোগ দিলেন অ্যাটলেটিকোতে।

    তবে অ্যাটলেটিকোতেও যে নিয়মিত সুযোগ পাবেন মোরাতা, তা অবশ্য হলফ করে বলা যাচ্ছে না এখনই। আঁতোয়া গ্রিযমান এবং ডিয়েগো কস্তারা আছেন দারুণ ফর্মে, সেক্ষেত্রে হয়ত বেঞ্চেই শুরু করতে হতে পারে মোরাতার। দলের স্ট্রাইকাররা দারুণ ফর্মে থাকার পরেও মোরাতাকে দলে নেওয়ায় খুব একটা সন্তুষ্ট নয় অ্যাটলেটিকোর 'আল্ট্রাস' সমর্থকেরা। গত সপ্তাহে গেটাফের বিপক্ষে নিজেদের 'হোম' ম্যাচে মোরাতার নাম দিয়ে দুয়োধ্বনি দিয়েছেন দক্ষিণ স্ট্যান্ডে অ্যাটলেটিকোর অনেকেই।

    তবে মোরাতার সমর্থনেও আওয়াজ তুলেছেন অনেকেই। 'বিয়েনভেনিদো আলভারো' (স্বাগতম আলভারো) ধ্বনিতে মুখরই ছিল ওয়ান্ডার উত্তর স্ট্যান্ড। তবে অ্যাটলেটিকোতে ফিরতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিতই মোরাতা। 'ঘরে ফেরা' উদযাপন করতে ইন্সটাগ্রামে ২০০৫ সালে যুবদলে যোগ দেওয়ার সময়কার এক ছবিও আপলোড করেছেন তিনি। রিয়ালের বিপক্ষে আগেরবার গোল করে উদযাপন করেননি মোরাতা। রিয়ালের 'নগর প্রতিদ্বন্দ্বী'দের জার্সিতেও কি এই 'রীতি' ধরে রাখবেন তিনি?