রোনালদো যাওয়ায় নিজের ‘সত্যিকারের’ খেলাটা খেলছি: বেনজেমা
২০০৯ সালে দুজন একসাথেই এসেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। এরপর একসাথে খেলেছেন দীর্ঘ নয় বছর। এই দীর্ঘ সময়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ছায়াতেই ঢাকা পড়েছিলেন করিম বেনজেমা। রোনালদো এখন জুভেন্টাসে, রিয়ালের আক্রমণভাগের দায়িত্বটা এসেছে বেনজেমার কাঁধেই। বেনজেমা বলছেন, রোনালদোর চলে যাওয়ার পরই নিজের ‘সত্যিকারের’ ফুটবলটা খেলতে পারছেন তিনি।
রিয়ালের হয়ে নয় বছরে রোনালদো করেছেন ৩১১ গোল, বেনজেমার গোল ১৩৮ টি। বেনজেমা গোল করলেও বরাবরই সেটা আড়ালে চলে গেছে রোনালদো ম্যাজিকে। রিয়ালের আক্রমণভাগের নেতৃত্বে ছিলেন সিআর সেভেন, তাকে কেন্দ্র করেই আক্রমণ সাজাতেন বেনজেমাসহ দলের অন্যরা।
রোনালদোর ছায়া ঢাকা পড়ে নিজের আসল কাজটাই ভুলতে বসেছিলেন বেনজেমা, ‘আমি এমন একজনের পাশে খেলতাম যে প্রতি মৌসুমে ৫০টি গোল করে। আমার কাজ ছিল তাকে বল বানিয়ে দেওয়া। আমার জার্সিতে নয় নম্বর থাকলেও আমি সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলতাম না। রোনালদোর সুবিধামতোই আমাকে খেলতে হতো। আমাদের জুটিটা দুর্দান্ত ছিল। আমি তাকে গোল করানোর জন্য মুখিয়ে থাকতাম।’
রোনালদো এখন নেই। তার জুভেন্টাসে যাওয়ার পর বেনজেমাই এখন রিয়ালের আক্রমণভাগের ‘নেতা’, ‘এখন সময় এসেছে সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়ার যে আমিও গোল করতে পারি। এটা করতেই আমি পছন্দ করি, লিঁওতে এটাই করতাম! রিয়ালে আসার পর আমাকে নিজের খেলা পরিবর্তন করতে হয়েছিল। এখন আমি আক্রমণভাগের নেতৃত্বে আছি। এতে আমি দারুণ খুশি। কারণ এটাই আমার সত্যিকারের কাজ।’
৬০ গোল করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন বেনজেমা। আর এগারো গোল করলেই ছুঁয়ে ফেলবেন রিয়াল কিংবদন্তি রাউলকে। বড় টুর্নামেন্টে দলের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আরও গোল করতে চান বেনজেমা, ‘এতগুলো গোল প্রমাণ করে যে আমি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দলের জন্য অনেক গোল করেছি। মাঠে থাকলে আমি রেকর্ড নিয়ে ভাবি না, কিন্তু রাউলকে অবশ্যই ছুঁতে চাই। আমার একটাই লক্ষ্য, রিয়াল যেন জয় পায়। সেটা যদি আমার গোলে হয় তাহলে তো আরও ভালো।’