• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ইস্তাম্বুলের ৬ গোলের রোমাঞ্চে ফেনারবাচের তৃপ্তি

    ইস্তাম্বুলের ৬ গোলের রোমাঞ্চে ফেনারবাচের তৃপ্তি    

    তুরস্কের সবচেয়ে সফল দুই ক্লাব। তারা আবার একই শহরের। কিন্তু ভৌগলিকভাবে এক ক্লাব পড়েছে এশিয়া অঞ্চলে, আরেক ক্লাব ইউরোপে। ঐতিহাসিকভাবে বেসিকতাস আর ফেনারবাচের দ্বন্দ্ব শত বছরেরও বেশি পুরনো। প্রতিবছর যখন দুই ক্লাব মুখোমুখি হয় তখন নতুন করে বিভেদ সৃষ্টি হয় ইস্তাম্বুলে। সেই শহরে দুই দলের ম্যাচে আরও একবার ঘটল 'ইস্তাম্বুলের মিরাকল'। বেসিকতাসের বিপক্ষে ৩ গোলে পিছিয়ে পড়েও ফেনারবাচে ফিরেছে ম্যাচে। ৩-৩ গোলের ড্রয়ে এক পয়েন্ট নিয়ে তার্কিশ সুপার লিগে রেলিগেশন এড়িয়েছে ফেনারবাচে।

    গত মৌসুমে দ্বিতীয় হওয়া ফেনারবাচে এই মৌসুমে ধুঁকছে লিগে। রেলিগেশন বাঁচাতেই হিমশিম খাচ্ছে তারা। এই ম্যাচের আগে রেলিগেশন জোনেই ছিল ক্লাবটি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বেসিকতাসের বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতেই আরও বিপদে পড়ে যায় ফেনারবাচে। ১৮ মিনিটের মধ্যে দুই গোল দিয়ে ম্যাচটা তখনই তালুবন্দী করে ফেলেছিল বেসিকতাস। আর প্রথমার্ধ শেষে যখন মাঠ ছাড়ছিল দুইদল, তখন ম্যাচে বেসিকতাসের সহজ জয়টা প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল। ইনজুরি সময়ে বুরাক ইলমাজের দ্বিতীয় গোলে  ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল বেসিকতাস।


     

    কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলা ঘুরিয়ে ফেলে ফেনারবাচে। ঠিক যেন ২০০৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের মতোই! ম্যাথু ভালবুয়েনা ও আন্দ্রে আয়ুকে নামিয়ে ফেনারবাচে আক্রমণে ধার বাড়িয়েছিল। সেটা কাজেও লেগেছে তাদের। ১২ মিনিটের এক ঝড়ে নাটকীয় ভাবে এরপর ম্যাচে ফেরে ফেনারবাচে। ৫৫ মিনিটে প্রথম গোল শোধ দেন মিহা জাচ। ৬ মিনিট পর ভালবুয়েনার ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল করে সাদিক সিফতপিনার বিশ্বাস চাঙ্গা করেন দলের। এর কিছুক্ষণ পর হাসান আল কালদ্রিমিমের ৩০ গজ দূর থেকে করা দুর্দান্ত এক গোলে আরও দুর্দান্তভাবে সমতায় ফেরে ফেনারবাচে। 

    এরপর অবশ্য বাকি সময়ে দুইদলের কেউই আর জয় ছিনিয়ে নেওয়া গোলটি করতে পারেনি। দুই দলের খেলা অনুমিতভাবে ঝামেলায়ও জড়িয়ে পড়েছিলেন দুইদলের খেলোয়াড়েরা। তাতে নির্ধারিত সময় শেষে ইনজুরি সময় যোগ করতে হয়েছিল ১০ মিনিট। কিন্তু ১০০ মিনিটেও আর জয়ী খুঁজে পায়নি ম্যাচ, তবে মাঠে থাকা ফেনারবাচে সমর্থকেরা শতভাগ তৃপ্তি নিয়েই বাড়ি ফিরেছেন। ড্রয়ের পর পয়েন্ট তালিকার ৩ নম্বরেই আছে বেসিকতাস, কিন্তু এক পয়েন্ট নিয়ে রেলিগেশন জোন এড়িয়ে ১৪ তে উঠে গেছে ফেনারবাচে। তার্কিশ লিগের শীর্ষে আছে ইস্তাম্বুলের আরেক ক্লাব বাসাখসেহির।