• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    আনচেলত্তি হলে 'ব্রিজ থেকেই ঝাঁপ দিয়ে মরতেন'

    আনচেলত্তি হলে 'ব্রিজ থেকেই ঝাঁপ দিয়ে মরতেন'    

    কাতারি পেট্রোডলারের ঝনঝনানিতে পুষ্ট হওয়ার পর থেকে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের লক্ষ্য একটাই, ইউরোপের নিজেদের আধিপত্য গড়ে তোলা। কিন্তু নাসের আল খেলাইফির যুগে ফ্রেঞ্চ লিগ এবং কাপে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করলেও ইউরোপে প্রতিবারই পিএসজিকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। ২০১৬-১৭ মৌসুমে বার্সেলোনাকে প্রথম লেগে ৪-০ গোলে হারিয়েও পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি তারা। এই মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে ২-০ গোলে জিতেও নিজেদের মাঠে হেরে গেছে ৩-১ গোলে। ফলাফল? আবারও শেষ ১৬ থেকে বিদায়। পিএসজির এমন বিদায়ের পর সাবেক কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, পিএসজির এখনকার কোচ হলে ইউনাইটেডের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের পর কোনও ব্রিজের ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়েই মরতেন তিনি!

     

     

     

     

    ইউরোপা লিগের শেষ ষোলর প্রথম লেগে গতকাল রেডবুল সালজবার্গকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আনচেলত্তির বর্তমান দল নাপোলির। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাবেক দলকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই আনচেলত্তির গলায় ঝড়েছে বিদ্রূপ এবং হতাশা, 'আমি জানি না কীভাবে তারা (পিএসজি) শেষ আটে যেতে পারল না। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগ ২-০ গোলে জেতার পর বিদায় নেয়নি কেউই। পিএসজি এমন এক রেকর্ড গড়ল, যা অবশ্যই তাদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল, ইউনাইটেডের ১০জন ফুটবলার স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন ইনজুরি এবং বহিষ্কারাদেশ মিলিয়ে। পল (পগবা), অ্যান্থনিরাও (মার্শিয়াল) বাইরে, বেঞ্চে পাঁচজন 'টিনএজার' ছিল সোলশারের দলের। এমন এক খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ৩ গোল হজম করা আসলেই হতাশাজনক। পিএসজির বর্তমান ম্যানেজার হলে আমি জানি না কী করতাম, হয়ত স্টেডিয়ামের সবচেয়ে কাছে কোনও ব্রিজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তাম পানিতে।'

    ২০১১ সালের শীতকালীন দলবদলে ফ্রেঞ্চ দলটির ম্যানেজার হয়ে এসেছিলেন আনচেলত্তি। সেবার ইউরোপা লিগে ছিল প্যারিস। পরের মৌসুমে বার্সেলোনার কাছে হেরে কোয়ার্টার থেকে বিদায় নিয়েছিল আনচেলত্তির পিএসজি। ২০১২-১৩ মৌসুম শেষে মাদ্রিদের পাড়ি জমান 'ডন কার্লো'। এরপর বায়ার্ন মিউনিখ হয়ে বর্তমানে নাপোলির হটসিটে তিনি।