• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ইউনাইটেড ফুটবলারের জার্সিতে পিএসজির লোগো

    ইউনাইটেড ফুটবলারের জার্সিতে পিএসজির লোগো    

    সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচে হয়ত স্কোয়াডেই থাকতেন না তিনি। ইনজুরি ও নিষেধাজ্ঞার কারণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নিয়মিত একাদশের দশজন ফুটবলার যেতে পারেননি ফ্রান্সে। ওলে গানার সোলশায়ার তাই বাধ্য হয়েই অন্য তরুণদের সাথে ম্যাসন গ্রিনউডকেও পিএসজির বিপক্ষে বাঁচা মরার ম্যাচের স্কোয়াডে রেখেছিলেন। পিএসজির মাঠে অবিশ্বাস্য সেই ফিরে আসার রূপকথায় শেষ তিন মিনিটের জন্য মাঠে নেমেছিলেন গ্রিনউড। ৯১ মিনিটে মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের গোল উদযাপনের সময় গ্রিনউডের জার্সির দিকে তাকিয়ে অনেকেই অবাক হয়েছেন। তাঁর জার্সিতে যে ছিল পিএসজির লোগো!

     

     

    পিএসজির মাঠে ৮৭ মিনিটে অ্যাশলি ইয়ংয়ের বদলি হিসেবে নেমেই গ্রিনউড করেছেন ইতিহাস। মাত্র ১৭ বছর ১৫৬ দিনে ইউনাইটেডের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক হলো তাঁর, তিনিই এই টুর্নামেন্টে ক্লাবের হয়ে মাঠে নামা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার। গ্রিনউডের মাঠে নামার তিন মিনিট পরেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ইউনাইটেডকে অবিশ্বাস্যভাবে কোয়ার্টারে নিয়ে যান র‍্যাশফোর্ড। সেই গোল উদযাপনের সময় দেখা গেছে, গ্রিনউডের ৫৪ নম্বর জার্সির ৪ নম্বরের নিচে পিএসজির লোগো বসানো।

    স্বভাবতই এতে অবাক হয়েছে সবাই। আসলে এই ম্যাচে গ্রিনউডের খেলা এতটাই অপ্রত্যাশিত ছিল যে, ফ্রান্সে পা রাখার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর জার্সি তৈরিরই সিদ্ধান্ত হয়নি! ম্যাচের একদিন আগে বানানো হয় গ্রিনউডের ৫৪ নম্বর জার্সি, এই জার্সি নম্বরের ডাইস ধার করা হয়েছিল পিএসজির থেকে! পিএসজির ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন না গ্রিনউড, হয়ত নামা হতো না পুরো ম্যাচেও। শেষ বাঁশি বাজার তিন মিনিট আগে সোলশায়ার নামিয়ে দেন তাকে। অভিষেক ম্যাচে হতাশ হতে হয়নি গ্রিনউডকে, নিজের ইতিহাস গড়ার দিনে ক্লাবও পৌঁছে গেছে কোয়ার্টারে।

    অ্যাস্টনের মার্সি স্কুলের সাথে অনেক আগে থেকেই চুক্তি আছে ইউনাইটেডের। যত ব্যস্ত সূচিই থাকুক না কেন, গ্রিনউডের পড়াশুনার কোন ক্ষতি হওয়া যাবে না। প্যারিস থেকে ফিরেই তাই শুক্রবার ক্লাসে যোগ দিয়েছেন গ্রিনউড। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ জিতলে কী হবে, ক্লাস তো মিস দেওয়া যাবে না!