সময় বাঁচাতে ক্রিকেটে আসছে ‘কাউন্টডাউন ঘড়ি’?
স্লো ওভার রেটের কারণে হরহামেশাই অধিনায়কদের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়। দুই ওভারের মাঝে, আউট হওয়ার ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া, কিংবা ডিআরএসের ব্যবহার; খেলার সময় অনেক কারণেই সময় নষ্ট হয়। এবার এই সময় নষ্টের হাত থেকে অধিনায়কদের ‘বাঁচাতে’ এমসিসি দিয়েছে দারুণ এক প্রস্তাব। স্কোরবোর্ডে ‘কাউন্টডাউন ঘড়ি’ বসানোর জন্য আইসিসির কাছে আহবান জানিয়েছেন তাঁরা।
সময় বাঁচাবে ‘কাউন্টডাউন ঘড়ি’?
কীভাবে ম্যাচের মাঝে নষ্ট হওয়া সময় কমানো যায়, এ নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই ভাবছে আইসিসি। এমসিসিও তাদের ‘গবেষণা’ চালিয়ে গেছে। গত সপ্তাহে ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এমসিসির প্রধান মাইক গ্যাটিং অন্য সদস্যদের সাথে নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তৈরি করেছেন।
১। সময় বাঁচাতে স্কোরবোর্ডে বিশেষ ধরনের একটি ঘড়ি বসাতে চায় এমসিসি। বোলারদের নতুন ওভার শুরু করার জন্য এই ঘড়ি দেখাবে ৪০ সেকেন্ড সময়। যদি নতুন ব্যাটসম্যান স্ট্রাইক নেয়, তাহলে সেটা বেড়ে দাঁড়াবে ৬০ সেকেন্ডে। আর যদি অন্য প্রান্তে বোলার পরিবর্তন হয়, তাহলে সময় দেওয়া হবে ৮০ সেকেন্ড। এর মাঝে যদি নতুন ওভার শুরু না হয়, তাহলে আম্পায়ার ফিল্ডিং করা দলের অধিনায়ককে সতর্ক করবেন।
২। উইকেট পড়লেও নির্দিষ্ট একটি সময়ের মাঝে ব্যাটসম্যানদের মাঠে ঢুকতে হবে, সেটাও দেখা যাবে স্কোরবোর্ডের ওই ঘড়িতে। পানি পানের বিরতির জন্যও থাকবে নির্ধারিত সময়, স্কোরবোর্ডে ওই সময় শেষ হওয়ার আগেই খেলা শুরু করতে হবে।
৩। ডিআরএসেও আসছে কিছু পরিবর্তন। অনেক সময়ই এলবিডব্লিউয়ের রিভিউতে সময় নষ্ট করা হয় বল ব্যাটে লেগেছে কিনা সেটা দেখতে। এখন থেকে যত দ্রুত সম্ভব বল ট্র্যাকিং ডাটা লোড করে দেখতে হবে বল স্টাম্প মিস করছে কিনা। এরপর সাথে সাথেই এটা তৃতীয় আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারকে জানিয়ে দেবেন নট আউটের সিদ্ধান্ত।
টেস্টেও থাকছে ফ্রি হিট?
সময় বাঁচানোর পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেট নো বলে ফ্রি হিটের ব্যাপারেও প্রস্তাব দিয়েছে এমসিসি। টেস্টে ফ্রি হিট দর্শকের মাঝেও বেশ উত্তেজনা আনবে বলে বিশ্বাস এমসিসির সদস্য শেন ওয়ার্নের, ‘ধরেন আমি এটা নো বল করলাম, সেটায় ব্যাটসম্যান আউট হলো। কিন্তু এরপর দেখা গেলো যে সেটা নো বল ছিল। ব্যাটসম্যান প্রথমে ভাববে সে আউট, পরে সে দেখবে এটা ফ্রি হিট। দর্শকরাও প্রথমে ভাববে তাদের প্রিয় ক্রিকেটার আউট, এরপর তাঁরা ফ্রি হিট দেখে উচ্ছ্বসিত হবে। এই উত্তেজনাটা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আছে, টেস্টে কেন থাকবে না? শুধু তাই নয়, এটা নো বলের পরিমাণও কমাবে। ফ্রি হিটের জন্য ইংল্যান্ড তিন বছর পর নো বল করেছিল ওয়ানডেতে। আশা করি আইসিসি এই প্রস্তাবটা গ্রহণ করবে।’
এমসিসির পছন্দ রেড ডিউক বল
টেস্ট বিভিন্ন দেশে ব্যবহার করা হয় কোকাবুরা, রেড ডিউকসহ বিভিন্ন রকমের বল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে এমসিসি চাইছে নির্দিষ্ট একটা বলের ব্যবহার নিশ্চিত করতে। এই ক্ষেত্রে ‘রেড ডিউক’ বলই পছন্দ গ্যাটিংয়ের, ‘বিরাট কোহলি গত বছর এটা নিয়ে কথা বলেছিলেন। অন্যরাও ডিউক বলকে 'স্ট্যান্ডার্ড' হিসেবে মানেন। এই বলটা ব্যাটসম্যান ও বোলারের লড়াইয়ে ভারসাম্য আনে। আমাদের উচিত ক্রিকেটারদের মতামত নেওয়া। তাঁরাই শেষ পর্যন্ত মাঠে খেলবে, তাই তাদের মতামত জরুরী।’