জিদানের ফেরায় 'অস্বস্তিতে' বেল?
জিনেদিন জিদানের অধীনে তিনি জিতেছিলেন হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। তবে দায়িত্ব পালনের শেষভাগে এসে জিদানের সাথে গ্যারেথ বেলের সম্পর্কে বেশ চিড় ধরেছিল। গত মৌসুমের শেষের দিকে গুঞ্জনও উঠেছিল, বেল ক্লাব ছাড়ছেন। শেষ পর্যন্ত ক্লাব ছেড়েছেন জিদানই। তবে নয় মাসের মাথায় আবার রিয়াল ডাগআউটে ফিরলেন জিজু। বেলের এজেন্ট জোনাথন বার্নেট বলছেন, জিদানের অধীনে আরও কিছুদিন খেলেই রিয়ালে থাকা না থাকার সিদ্ধান্তটা নিতে চান বেল।
আগের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন বেল। শেষ পর্যন্ত তাঁর জাদুকরী পারফরম্যান্সেই শিরোপা যেতে রিয়াল। তবে ম্যাচে প্রথম একাদশে না থাকায় নিজের হতাশার কথা স্বীকার করেছিলেন বেল নিজেই। রিয়ালে প্রথম একাদশে বেশি সুযোগ পাচ্ছে না, এই অভিযোগে ক্লাব ছাড়ার কথাও শোনা যাচ্ছিল। জিদান এরপর রিয়াল ছাড়লেন, বেলও ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত বদলালেন।
নতুন কোচ সান্তিয়াগো সোলারির অধীনেও ইনজুরির কারণে খুব একটা বেশি খেলতে পারেননি বেল। এই মৌসুমে ৩৪ ম্যাচে এখন পর্যন্ত করেছেন ১৩ গোল। দুদিন আগেই বরখাস্ত হয়েছেন সোলারি, ফিরছেন জিদান। রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ এটাও ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী মৌসুমে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমারকেও রিয়ালে আনতে চান তিনি।
একে তো জিদান ফিরেছেন, তাঁর ওপর হয়ত আসছেন এমবাপ্পে-নেইমারের মতো ফুটবলাররা। স্বভাবতই একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে আবার দুশ্চিন্তা জেঁকে ধরেছে বেলকে। বার্নেট অবশ্য বলছেন, তাড়াহুড়ো করে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না বেল, ‘জিদান ও বেল খুব ভালো বন্ধু নয়, এটা আগেই বলেছি। তবে রিয়াল ছাড়ার সিদ্ধান্ত তাড়াহুড়ো করে নেবেন না তিনি। জিদানের অধীনে আগে কিছুদিন খেলে এরপরই সিদ্ধান্ত নেবেন বেল।’
এদিকে বেলের জাতীয় দল ওয়েলশের কোচ রায়ান গিগস তাকে পরামর্শ দিয়েছেন রিয়ালে থাকতেই, ‘আমি ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছি। বড় ক্লাবে খেললে কিছু সমালোচনা শুনতেই হয়। সে দুর্দান্ত একজন ফুটবলার। রিয়ালে তাঁর রেকর্ডের দিকে তাকালেই এটা বোঝা যায়। আশা করি সে আরো বেশি ম্যাচ খেলবে সেখানে।’
শেষ পর্যন্ত জিদানের অধীনে কতটুক সুযোগ পান বেল, সেটার ওপরই হয়ত নির্ভর করছে রিয়ালে তাঁর ভবিষ্যৎ।