বিশ্বকাপের আগে মাহমুদউল্লাহ-শংকা
নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরার পর কাল প্রথম এসেছিলেন মাঠে। হালকা অনুশীলনও করেছেন। তাঁর মুখ দেখে অবশ্য তখনো বোঝা যায়নি বড় একটা দুঃসংবাদ পেয়েছেন। কাঁধের পেশীতে ভালোমতোই চোট লেগেছে মাহমুদউল্লাহর, যেটিকে বলা হচ্ছে গ্রেড থ্রি টিয়ার। বিশ্বকাপের আর মাস দুয়েকের মতো যখন বাকি, বাংলাদেশ দলের জন্য এটা বড় একটা দুঃসংবাদই।
চোটটা পেয়েছিলেন আগেই। নিউজিল্যান্ডে প্রথম টেস্টের সময় ডাইভ দিয়ে গিয়ে কাঁধের সেই চোট বেড়েছে আরও। সেটি নিয়েই খেলেছেন দ্বিতীয় টেস্ট, অবস্থা খারাপের দিকেই গেছে। দেশে ফিরে এমআরআই করে দেখা গেছে, পেশীতে গ্রেড থ্রি ধরনের টিয়ার হয়েছে তাঁর। সেটি হলে অনেক সময় অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হয়। তবে বিসিবির একজন কর্মকর্তা মনে করছেন, ঔষধ ও সাধারণ থেরাপিতে ঠিক হয়ে যেতে পারেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমরা মাহমুদউল্লাহর এমআরআই রিপোর্ট পেয়েছি, গ্রড থ্রি টিয়ার আছে সেখানে। আমরা ১৫ দিন ওকে বিশ্রামের পরামর্শ দিচ্ছি। এরপর ওর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা আশা করছি অস্ত্রোপচার ছাড়াই ও সুস্থ হয়ে উঠবে। এই সময়ে সে অনুশীলনও করতে পারবে, তবে ভারি কোনো চাপ নিতে পারবে না।’
আড়াই বছর আগে মোস্তাফিজুর রহমান এরকম কাঁধের একটা চোটই পেয়েছিলেন। যেটি ছয় মাসের জন্য তাঁকে ছিটকে দিয়েছিল মাঠ থেকে। বিসিবির ওই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ‘মোস্তাফিজের চোটের মতই এটা অনেকটা। তবে পেসারদের এই চোট থেকে সামলে উঠতে সময় লাগে। মাহমুদউল্লাহর ক্ষেত্রে আশা করি সেটা হবে না।’ বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী অবশ্য এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন।