মেসির সঙ্গে জার্সিবদলে মৃত্যুহুমকি, দোষ নেই পিকের!
মাদ্রিদ বা ম্যানচেস্টার ডার্বির মত তেমন আলোচিত না হলেও বার্সেলোনা ও এস্পানিওলের কাতালান ডার্বি কম উত্তাপ ছড়ায় না। প্রতিপক্ষের মানেই যেন শত্রু, আর এস্পানিওলের হয়ে বার্সার কারও সাথে জার্সি বদল? এস্পানিওল সমর্থকদের কাছে তা যেন রীতিমত 'মৃত্যুদন্ডই'। সেই 'মহাপাপ'টাই করেছেন এস্পানিওলের আদ্রিয়া পেদ্রোসা। গত সপ্তাহে ন্যু ক্যাম্পে কাতালান ডার্বিতে হারের পর জার্সি বদলেছেন মেসির সাথে। আর তাতেই চটেছেন এস্পানিওল সমর্থকেরা, পেদ্রোসাকে মৃত্যুহুমকিও দিয়েছেন তারা।
এস্পানিওল সমর্থকেরা অবশ্য বার্সার ওপর চটে ছিলেন আগের থেকেই। ইতিহাস তো ছিলই, আবার সেই আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছিলেন বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। আর্থিক দিক দিয়ে প্রতিবেশীদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে বার্সা। ম্যাচের আগে এস্পানিওলকে সেই খোঁচাটা দিয়েছিলেন বার্সা ডিফেন্ডার, 'এস্পানিওলের বার্ষিক বাজেটের (৫৭ মিলিয়ন ইউরো) চেয়ে আমার নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স অনেক বেশি।' এস্পানিওলও থেমে থাকেনি। টুইটারে নিজেদের ক্লাবের ছবি দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছে তারা।
'আমাদের মূল্যবোধ টাকায় কেনা যায় না, এসব কিছু অর্থকড়ির মানদণ্ডের চেয়ে ঊর্ধ্বে।' এস্পানিওলের এই টুইটের পরই পিকের জোর সমালোচনায় মেতেছে স্পেন। 'লা সেক্সটা' সাংবাদিক মারিয়া মার্টিনেজই আওয়াজ তুলেছিলেন সবার আগে। কিন্তু পেদ্রোসার মৃত্যুহুমকি পাওয়ার পেছনে পিকের দোষ মানতে নারাজ বার্সা ডিরেক্টর গিলের্মো আমোর, 'মৃত্যুহুমকির মত বিষয়ের জন্য পিকের মন্তব্যকে দায়ী করা একেবারেই ঠিক নয়। আদ্রি, মেসির জার্সি চাইতেই পারে। সে (মেসি) বিশ্বের সেরা ফুটবলার, যেকোনও প্রতিপক্ষ ফুটবলারই মেসির জার্সি চাইতেই পারে। এখানে দোষের কিছু নেই।'
পিকে, মেসির পক্ষে সাফাই গেয়েই ক্ষান্ত দেননি আমোর, মনে করিয়ে দিয়েছেন পিকের প্রতি এস্পানিওল সমর্থকদের বিরূপ মনোভাবও, 'জেরার্ড যতবার তাদের (এস্পানিওল) মাঠে খেলতে গিয়েছে, প্রতিবারই জোর দুয়ো শুনেছে। ওর পরিবারের কাউকেই ছাড় দেয়নি তারা। স্ত্রী শাকিরা থেকে শুরু করে বাবা-মা, এমনকি ওর সন্তানকেও জঘন্য সব মন্তব্য করেছে তারা। বিদ্রূপ এবং গালাগাল করা ব্যানারও নিয়ে এসেছিল তারা। বার্সার কোনও সমর্থক তো মৃত্যুহুমকির মত গর্হিত কোনও কাজ করেনি এস্পানিওলের কারও সাথে। পিকের এখানে দোষ নেই।'