• লা লিগা
  • " />

     

    তৃতীয় ম্যাচেই হারের স্বাদ পেল জিদানের রিয়াল

    তৃতীয় ম্যাচেই হারের স্বাদ পেল জিদানের রিয়াল    

    গত সপ্তাহে হুয়েস্কার বিপক্ষে তার অন্তিম মুহূর্তের গোলেই শেষ হাসি হেসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে আজও শেষদিকে গোল করলেন করিম বেনজেমা। কিন্তু এবার আর গত সপ্তাহের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস নয়, রিয়াল ফিরল ব্যবধান কমানোর হতাশা নিয়েই। বেনজেমার গোলের আগেই অবশ্য লেখা হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের ভাগ্য। ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ এস্তাদিও মেস্তায়ায় ২-১ গোলে হেরে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের 'দ্বিতীয়' অধ্যায়ের ৩য় ম্যাচেই হারের স্বাদ গ্রহণ করতে হল জিনেদিন জিদানকে। ৩০ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন-এ থাকল 'লস ব্লাঙ্কোস'রা।

    মেস্তায়াতে রিয়ালের জন্য কাজটা যে কঠিনই হবে, তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল ম্যাচের শুরু থেকেই। আক্রমণে গ্যারেথ বেল, ইস্কোর অভাবটা বেশ ভুগিয়েছে জিদানের দলকে; দুজনই ছিলেন বেঞ্চে। প্রথমার্ধে তেমন আক্রমণই গড়তে পারেনি তারা। প্রেসিং ফুটবলে রিয়ালকে চেপে ধরা ভ্যালেন্সিয়াই পেয়েছিল প্রথম সুযোগটা। ২০ মিনিটে কেইলর নাভাসকে একা পেয়েও শট না নিয়ে পাস বাড়িয়ে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন রড্রিগো মোরেনো। অবশ্য এজন্য 'লস চে'দের খুব একটা ভুগতে হয়নি।

     

     

    ৩৫ মিনিটে কর্নার থেকে কার্লোস সোলেরের সাথে 'ওয়ান টু' করে রিয়ালের ডিবক্সের সামান্য বাইরে বল পান গঞ্জালো গুইদেস। নাভাসকে বোকা বানিয়ে গুইদেস শট নেন বাঁ-প্রান্তে, বলে হাত ছোঁয়ালেও ভ্যালেন্সিয়ার পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে ফেরাতে পারেননি রিয়ালের গোলরক্ষক। এস্তাদিও মেস্তায়া তখন আনন্দে আত্মহারা। সার্জিও রামোসদের মাথায় হাত, ডাগআউটে জিদানের শূন্যদৃষ্টি। প্রথমার্ধের বাকি সময় আরও ৩টি গোলের সুযোগ পেয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু কনডগবিয়া, গামেইরোদের কেউই শট গোলে রাখতে পারেননি। রিয়ালকে কাঁপিয়ে দেওয়া প্রথমার্ধ শেষে ভ্যালেন্সিয়ার লিডটা তাই ছিল মাত্র এক গোলেরই।

    দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা যেন প্রথমার্ধেরই 'কার্বন কপি'। প্রথমার্ধে লিড নিলেও গোলের একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেছিল ভ্যালেন্সিয়া। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলমুখে খেই হারিয়ে ফেলেন গামেইরো-রড্রিগোরা। ৫৪ মিনিটে দানি পারেহোর থ্রু পাসে নাভাসকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি সোলের। ৫৮ মিনিটে আবারও ভ্যালেন্সিয়ার গোলের সুযোগ, আবারও শট বাইরে নেন রড্রিগো। ম্যাচে ফেরার আশায় ৬৫ মিনিটে বেল-ইস্কোদের নামিয়ে দেন জিদান। কিন্তু লাভ হয়নি খুব একটা।

     

     

    জিদান 'তুরুপের তাস' খেলে ফেললেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি রিয়াল। উল্টো ভ্যালেন্সিয়ার আক্রমণজোয়ার ছিল অব্যাহত। তবে অব্যাহত ছিল সুযোগ মিসের মহড়াও। ৭৫ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে নাভাসকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন রড্রিগো এবং গামেইরো, কিন্তু ভুল বোঝাবোঝিতে গোল করতে পারেননি দুজনের কেউই। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করলেও গোলের দেখা ঠিকই পেয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া।

     

     

    ৮৩ মিনিটে পারেহোর কর্নার থেকে হেড করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এজেকুয়েল গারায়। নিজেদেরই সাবেক ডিফেন্ডারের গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। পুরো ম্যাচে নিজেদের হারিয়ে খোঁজা রিয়াল শেষদিকে ভ্যালেন্সিয়ার উৎসব মাটি করে দিতে পারত আরেকটু হলেই। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে রামোসকে ডিবক্সে ফেলে দেন গারায়, পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। কিন্তু 'ভিএআর'-এর শরণাপন্ন হয়ে সিদ্ধান্ত বদলান রেফারি। কারণ রিপ্লেতে দেখা গিয়েছিল, অফসাইডে ছিলেন রিয়ালের অধিনায়ক। বেনজেমা ব্যবধান কমালেও মেস্তায়া থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল জিদানকে। রিয়ালের 'দ্বিতীয়' অধ্যায়ের ৩য় ম্যাচেই হারের স্বাদ গ্রহণ করতে হল তাকে।