"ওয়ার্নার-বেইরস্টো যেন ২০০৬ বিশ্বকাপের পরের সেই রোনালদো-রুনি"
জাতীয় দলে তাঁরা দুইজন ‘চিরশত্রু’। বিশেষ করে ২০১৭-১৮ অ্যাশেজে ক্যামেরন ব্যানক্রফটের সাথে হওয়া ওই অপ্রীতিকর ঘটনার পর জনি বেইরস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নারের মাঝে ‘বন্ধুত্ব’ তো কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু সেই বেইরস্টো-ওয়ার্নার জুটিই সানরাইজারস হায়দরাবাদের হয়ে এবারের আইপিএলে আলো ছড়াচ্ছেন। ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান মজা করেই বলেছেন, বেইরস্টো-ওয়ার্নার জুটির সম্পর্কটা হচ্ছে পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও ইংল্যান্ডের ওয়েইন রুনির মতো।
২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-পর্তুগাল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ রোনালদো ও রুনি। সেই ম্যাচে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন রুনি। পর্তুগালের ফুটবলারকে ফাউলের পর রোনালদোর সাথেও লেগেছিল তর্ক। রুনি মাঠ ছেড়ে বের হওয়ার সময় রোনালদো তার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপও মেরেছিলেন! তবে বিশ্বকাপ শেষে ক্লাবের হয়ে আবার জুটি বেঁধে খেলেছেন দুজন, দুইজনের বন্ধুত্বেও ফাটল ধরেনি।
দুই বছর আগে অ্যাশেজ চলার সময় ওয়ার্নারের ওপেনিং পার্টনার ব্যানক্রফটকে পার্থের একটি নৈশক্লাবে মাঠর দিয়ে গুঁতো মেরেছিলেন বেইরস্টো। সেই ঘটনা নিয়ে তখন দুই দলের মাঝেই খানিকটা উত্তেজনা বিরাজ করেছে। মাঠেও সেটা নিয়ে বেইরস্টোর সাথে তর্কে জড়িয়েছিলেন ওয়ার্নার। সেই বেইরস্টো-ওয়ার্নার এখন রীতিমত ভালো বন্ধু। হায়দরাবাদের হয়ে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন দুজনেই। বেইরস্টো সেঞ্চুরি পাওয়ার পর ওয়ার্নার তাঁকে জড়িয়ে ধরেই অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
মরগানের মতে, বেইরস্টো-ওয়ার্নারের বন্ধুত্বটা ইউনাইটেডের রোনালদো-রুনির মতোই, ‘এই মুহূর্তে তাঁরা দুজন সতীর্থ। এটাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সৌন্দর্য। আপনি কারো সাথে কোনদিন একসাথে খেলার কথা কল্পনাতেও আনেননি, তার সাথেই খেলতে হচ্ছে। ফুটবলে এটা তো হরহামেশাই হয়। রোনালদো ও রুনির কথাই ধরুন, ২০০৬ বিশ্বকাপের সেই ঘটনার দুই সপ্তাহ পর তাঁরা ইউনাইটেডের হয়ে কী দারুণভাবে জুটি বেঁধে খেলেছে! আশা করি জনি বিভিন্ন ক্রিকেটারদের সাথে খেলে অনেক কিছুই শিখবে।’
আইপিএল চলার সময় তো দুজন 'বন্ধু'। আগামী বিশ্বকাপ ও বিশেষ করে সামনের অ্যাশেজে নিশ্চয়ই বেইরস্টো-ওয়ার্নারের সেই পুরনো লড়াইটাই দেখা যাবে।