উইন্ডিজ কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হচ্ছেন পাইবাস?
চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে দেওয়া হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেড কোচ রিচার্ড পাইবাসকে। এমনিতে বিশ্বকাপের পর ভারতের ক্যারিবীয় সফর পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ আছে তার, তবে ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, সে পর্যন্ত সময় নাও পেতে পারেন পাইবাস।
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রেসিডেন্ট রিকি স্কেরিট ক্রিকইনফোকে বলেছেন, “ক্রিকেট রিভিউ প্রক্রিয়া চলছে। মঙ্গলবার বোর্ড মিটিংয়ের পরই ঘোষণা দেওয়া হবে।”
মাস তিনেক আগে পাইবাস নিয়োগ পাওয়ার পরপরই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ২-১ ব্যবধানে দারুণ এক জয় পেয়েছিল উইন্ডিজ। ওয়ানডে সিরিজ তারা ড্র করেছিল ২-২ এ। অবশ্য তার বিরুদ্ধে দলে বিভাজন তৈরির অভিযোগ আছে। হেড কোচ হওয়ার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট’ পদে ছিলেন তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। সে সময় অবশ্য তার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিবেচ্য হতে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা ছিল সেসবের মধ্যে অন্যতম। এ কারণে বেশ কিছু সিনিয়র ক্রিকেটার জাতীয় দলকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলা বেছে নিয়েছিলেন।
নির্ধারিত সময়ের আগেই চলে যাওয়ার ব্যাপারটা নতুন নয় পাইবাসের কাছে।
‘ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট’ পদে চুক্তি নবায়ন না করলেও এ বছর জানুয়ারিতে পাইবাস হেড কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল মিডলসেক্সে যোগ দেওয়ার পর। সে সময় তার নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল লিওয়ার্ড আইল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। তারা বলেছিল, পাইবাসকে তখনকার ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট ডেভ ক্যামেরন ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ নিয়োগ দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি বোর্ড প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক টিম ম্যানেজার স্কেরিটের কাছে হেরে গেছেন ক্যামেরন। পাইবাসকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হতে পারে সেটারই প্রভাব। স্কেরিট দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বলেছিলেন, কোচের ক্ষেত্রে বিদেশীদের চেয়ে স্থানীয় মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
“(পাইবাসকে অন্তর্বর্তীকালিন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারটা) একটা গোলমেলে ব্যাপার”, এবার বলেছেন স্কেরিট, “আপনাকে বলতেই হবে, আমাদের দলের পেছনে যে অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করা হয়, সেসব ব্যাপারে আমাদের অঞ্চলে কাউকে পাওয়া না গেলেই বাইরে থেকে আনা হবে। আমরা নিশ্চিত হতে চাই, সামর্থ্য অনুযায়ী দল যাতে ভাল করে। সেই সঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে হবে, তাদের আশেপাশে যাতে ক্যারিবীয় একটা ‘সাপোর্ট-স্টাফ’ থাকে।”
নির্ধারিত সময়ের আগেই চলে যাওয়ার ব্যাপারটা অবশ্য নতুন নয় পাইবাসের ক্ষেত্রে। ২০১২ সালে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে মাস পাঁচেক দায়িত্ব পালন করার পর ‘চুক্তির শর্ত ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ’-এর ব্যাপারে বনিবনা না হওয়ায় চলে গিয়েছিলেন পাইবাস। এরপর চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর আবারও বাংলাদেশের কোচ হিসেবে আলোচনায় এসেছিল তার নাম।