• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    সেমিতে এক পা দিয়েই রাখল লিভারপুল

    সেমিতে এক পা দিয়েই রাখল লিভারপুল    

    গত মৌসুমে এই পোর্তোকে টপকেই চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টারে ফাইনালে চলে গিয়েছিল লিভারপুল। বছরখানেক পর নকআউট পর্বে আবারও ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের প্রতিপক্ষ পোর্তো। মৌসুম বদলালেও বদলায়নি লিভারপুল। গত মৌসুমের মত এবারও 'অল রেড'দের কাছে নকআউট পর্বের প্রথম লেগ হারল পোর্তো। ২০১৮-১৯ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে অ্যানফিল্ডে পর্তুগিজ চ্যাম্পিয়নদের ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল।

    ইউরোপে কখনোই ইংলিশ প্রতিপক্ষকে হারাতে পারেনি পোর্তো (১৭ হার, ৩ ড্র)। 'প্রথম' জয়ের প্রতীক্ষাটা তাই বাড়ল আরেকটু। আজও ম্যাচের শুরু থেকেই লিভারপুলের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পোর্তো। লিড নিতে লিভারপুলের লেগেছে মাত্র ৫ মিনিট। রবার্তো ফিরমিনোর পাসে ডিবক্সের বাইরে থেকে শট নেন নবী কেইটা। পোর্তো ডিফেন্ডার এডার মিলিতাওয়ের গায়ে লেগে কেইটার দিক পরিবর্তন করা শট ঠেকানোর কোনও উপায়ই ছিল না ইকার ক্যাসিয়াসের জন্য।

     

     

    লিডটা প্রথমার্ধেই দ্বিগুণ করতে পারত লিভারপুল। ২২ মিনিটে ফিরমিনোর থ্রু থেকে পোর্তো ডিফেন্ডার অ্যালেক্স তেয়েসের ভুলে ক্যাসিয়াসকে একা পেয়ে যান মোহামেদ সালাহ। কিন্তু লিভারপুল ফরোয়ার্ডের শট ক্যাসিয়াসকে ফাঁকি দিলেও চলে যায় গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে। তবে এজন্য খুব একটা ভুগতে হয়নি তাদের। প্রথম গোলের অ্যাসিস্ট করা ফিরমিনোর হাত ধরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। ২৬ মিনিটে রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের পাসে গোলের সামনে থেকে বল জালে পাঠান ফিরমিনো।

     

     

    গত মৌসুমের শুরু থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল, অ্যাসিস্ট মিলিয়ে তার (১২ গোল, ৮ অ্যাসিস্ট) চেয়ে এগিয়ে আছেন কেবল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (২৬)। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দমে যায়নি পোর্তো। উল্টো ২৬ মিনিটে মুসা মারেগার শট অ্যালিসন ফিরিয়ে না দিলে হয়ত তখনই ম্যাচে ফিরত সার্জিও কন্সিনসাওয়ের দল। পুরো ম্যাচে পোর্তোর সেরা সুযোগগুলো পেয়েছিলেন মারেগাই, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি একটিও। মারেগাদের মিসের মহড়ায় আরও পিছিয়ে পড়তে পারত পোর্তো। ৪৮ মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের ক্রসে ভলি করে বল জালে পাঠিয়েছিলেন সাদিও মানে, কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি।

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধে সময় যত এগিয়েছে, গোলমুখে দু'দলেরই আক্রমণের ধার যেন কমেছে পাল্লা দিয়েই। সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই, কিন্তু গোলমুখে ক্যাসিয়াস বা অ্যালিসনকে তেমন পরীক্ষায়ই ফেলতে পারেনি মানে বা মারেগারা। দ্বিতীয়ার্ধের ৮৪ মিনিটে অবশ্য পেনাল্টির আবেদন জানিয়েছিল পোর্তো। কর্নার ক্লিয়ার করতে যেয়ে বল লিভারপুল ডিফেন্ডার দেয়ান লভ্রেনের হাতে লাগলেও অনিচ্ছাকৃত হওয়ায় পোর্তোর আবেদনে সাড়া দেননি ভিডিও রেফারি। গত মৌসুমের মত এবারও প্রথম লেগে সহজ জয়ে শেষ চারের পথটা সুগম করে রাখল লিভারপুল।