• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    আর্সেনালে নত আনচেলত্তির নাপোলি

    আর্সেনালে নত আনচেলত্তির নাপোলি    

    অ্যাওয়ে ম্যাচে টানা হারের ধারা থেকে বের হতে পারবে আর্সেনাল? এমিরেটসের ম্যাচশেষে ওই একটা সংশয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে গানাররা। নাপোলির বিপক্ষে দাপুটে প্রথম লেগের পর সেমিফাইনাল আর আর্সেনালের দূরত্ব হয়ে থাকল সেটাই। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নাপোলিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। জয়ের ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত। তবে আফসোস বাদ দিয়ে বরং এখন সান পাওলোতে কীভাবে নাপোলির লাগাম টেনে ধরা যায় সে কৌশল আটতে পারেন উনাই এমেরি। নভেম্বরের পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতেছে তার দল।

    এমিরেটসে আর্সেনালের জয়ের নায়ক অ্যারন রামসে। যাওয়ার আগে মায়াটা আরও বাড়িয়েই যাচ্ছেন তিনি। কার্লো আনচেলত্তির দলের বিপক্ষে আর্সেনালের আক্রমণের সুরটা তিনিই তুলে দিয়েছিলেন। ৬ মিনিটেই শট করেছিলেন গোলে। সে দফায় না পারলেও এর মিনিট দশেক পর সফল ওয়েলশনম্যান। ডানদিক থেকে অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেত পাস দিয়েছিলেন মাটিলান্ড নেইলসকে। তিনি দারুণ এক টার্ন নিয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি জায়গায় ফিরতি পাস দিলেন রামসেকে। ডান পায়ে বাকি কাজটা সারতে মোটেই কষ্ট করতে হয়নি তাকে। 

    ইউরোপা লিগের সফলতম ম্যানেজার এমেরি অবামেয়াং-লাকাজেত জুটির সঙ্গে নামিয়েছিলেন মেসুত ওজিলকে। রামসে-নেইলস সাহায্য করে গেছেন তাদের। আর লুকাস তোরেয়েরা মাঝমাঠে সুযোগই দেননি নাপোলিকে। ২৫ মিনিটে সেই তোরেয়েরা অবদান রাখলেন গোলেও। ডিবক্সের বাইরে থেকে শট করেছিলেন, সেটা কালিদু কৌলিবালির গায়ে লেগে ঢুকে যায় তার নিজের গোলেই। আত্মঘাতী হলেও, তোরেয়ারার উদযাপনে ভাটা পড়েনি একটুও।

    প্রথমার্ধে আরও তিনবার গোলে শট করেছিলেন আর্সেনাল। তবে তিনবারই নাপোলি গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিয়েছেন ঘরের দলকে। অন্যপ্রান্তে নাপোলি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তেমন। বিরতির আগে লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে সুবর্ণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। ভালো জায়গা থেকে বল মেরেছেন গোলের ওপর দিয়ে।

    আনচেলত্তির দল অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা ভালোই করেছিল। কিন্তু আর্সেনালের তিন সেন্টারব্যাক ফন্দি এটেছিলেন একটু ঝুঁকি নিয়েই। ইনসিনিয়ে তাই বেশ কয়েকবার গোলের সামনে গিয়েও অফসাইডে আটকা পড়েছেন। ৫৫ মিনিটে একবার গোলের করেও তাই মিলিয়ে গেছে তার হাসি। পিটার চেককেও খুব বেশি কিছু করতে হয়নি ম্যাচে। কৌলিবালির হেড একবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে।

     

     

    আর্সেনাল আর গোলের মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধেও আরেকবার বাধা হয়ে দাঁড়ান নাপোলির তরুণ গোলরক্ষক। রামসেকে একবার ফেরান। পরেরবার ডাবল সেভে সিড কোলাসিনাচ ও নেইলসকেও ফিরিয়ে দেন মেরেট। শেষদিকে পিতর জিয়েলিনস্কি ভালো জায়গা থেকে বাইরে দিয়ে শট মারলে আর অ্যাওয়ে গোলটাও হজম করতে হয়নি আর্সেনালকে।

    আর্সেনাল হেসে খেলে জিতলেও প্রাগে ঘাম ঝরাতে হয়েছে চেলসিকে। ৮৬ মিনিটে মার্কোস আলোন্সোর একমাত্র গোলে চেলসি হারিয়েছে স্লাভিয়া প্রাগকে। আর বেনফিকা নিজেদের মাঠে ৪-২ গোলে হারিয়েছে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে। ১৯ বছর বয়সী হোয়াও ফেলিক্স করেছেন হ্যাটট্রিক।