যে কারণে দলে মোসাদ্দেক-রাহী
দলের ১৩ জনের নাম ছিল একরকম জানাই। বাকি দুই জন কে হবে, তা নিয়েই ছিল জল্পনা কল্পনা। সেই দুজনের একজন যে মোসাদ্দেক হোসেন হবেন, সেটাও বিস্ময় নয়। তবে চমক হয়ে এসেছে আবু জায়েদ রাহীর নামটা। পঞ্চম পেসার হিসেবে সুযোগ পাচ্ছেন দলে। আজ মিরপুরে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ব্যাখ্যা করলেন রাহী ও মোসাদ্দেককে দলে নেওয়ার কারণ।
মোসাদ্দেকের নামটা অনুমিতই ছিল। জাতীয় দলে গত এশিয়া কাপেও খেলেছেন, এরপর বিপিএল ও ডিপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন এবার। তাঁকে দলে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিলেন মিনহাজুল আবেদীন, ‘মোসাদ্দেক ডমেস্টিকে অনেক দিন ধরে ভালো খেলছে। আর মাহমুদউল্লাহর চোটের কারণে আমাদের বাড়তি একজন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার দরকার ছিল। মোসাদ্দেককে আমরা সেই জায়গায় বিবেচনা করেছি। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ওর অফ স্পিনও কাজে আসতে পারে। সেই চিন্তা করেই ওকে নেওয়া হয়েছে।’
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে মোসাদ্দেক, সঙ্গে চমক রাহী
রাহীর নামটা একটু বিস্ময়ই ছিল। তাসকিন আহমেদ ও শফিউল ইসলামের নামই শোনা যাচ্ছিল বেশি। রাহীকে নেওয়ার কারণ হিসেবে সুইং করানোর ক্ষমতার কথাই বললেন, ‘নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে সে টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিল, ওয়ানডে খেলার সুযোগ পায়নি। তবে সেই কন্ডিশনে আমরা যতটা দেখেছি যে ওর বোলিংয়ে যথেষ্ট সুইং আছে। আমাদের পেসারদের মধ্যে সুইং বোলারের সংখ্যা বেশ কম। যেহেতু ইংলিশ কন্ডিশনে খেলা, আয়ারল্যান্ডেও ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। আর মে এবং জুন মাসের দিকে ঠান্ডাও বেশি থাকে। তাপমাত্রাও অনেক কম থাকে। সেই হিসেবে পেসারদের মধ্যে সুইং বোলার কাউকে যদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারি তাহলে সেটি আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। সেই চিন্তা করে রাহিকে দলে রাখা হয়েছে।
রাহীর অবশ্য এখনো ওয়ানডে অভিষেক হয়নি। প্রিমিয়ার লিগে এবারের পারফরম্যান্স খুব ভালো নয়, ৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট। চার বা পাঁচ উইকেট পাননি একবারও। এবার সুযোগ পেয়ে গেলেন বিশ্বকাপেই।