মিঠুন-মোসাদ্দেক : একই রোমাঞ্চ, আলাদা রোমাঞ্চ
বিশ্বকাপ নিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ মিঠুনের রোমাঞ্চটা কিছুটা একই, আবার কিছুটা ভিন্ন। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন দুজনই, প্রথমবারের মতো খেলতে যাচ্ছেন বিশ্বকাপ। মিঠুনের ক্ষেত্রে বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলার রোমাঞ্চটা আছে, আর মোসাদ্দেকের সে রোমাঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দলে ফেরার স্বস্তিও।
২০১৪ সালে অভিষেক হলেও মিঠুন জাতীয় দলে নিয়মিত হয়েছেন গত বছর থেকে। শেষ নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের ব্যাটিং-আঁধারে উজ্জ্বল দিক ছিলেন তিনি, দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই করেছেন ফিফটি। বিশ্বকাপ দলে তার থাকাটা ছিল অনুমিতই। আর মোসাদ্দেক চোখের সমস্যায় দল থেকে বাদ পড়ার পর ফিরেছিলেন এশিয়া কাপে, তবে ছিলেন না নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্ম, সঙ্গে স্পিনের সামর্থ্য তাকে এনেছে বিশ্বকাপ দলে। আলোচনায় থাকা ইয়াসির রাব্বিকে টপকে দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
পড়ুন- যে কারণে দলে মোসাদ্দেক-রাহী
মোসাদ্দেকের হচ্ছে স্বপ্নপূরণের অনুভূতি, “যখন থেকে খেলা শুরু করি তখন থেকেই স্বপ্ন দেখি বিশ্বকাপে খেলব। সব বড় টুর্নামেন্টের দিকেই সবসময় নজর থাকে। আমিও সেইভাবে চিন্তা করেছি যে বিশ্বকাপে খেলব, বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করব। আমি ১৫ জনের দলে আছি, আমি চেষ্টা করব সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার।”
মোসাদ্দেক অবশ্য নিশ্চিত ছিলেন না দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে, “ঘুম থেকে ওঠার পর যখন শুনলাম তখন স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছি। আমারও একটা ধারণা ছিল হয়তো থাকতেও পারি, নাও থাকতে পারি। শোনার পর অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা অর্জন।”
২০১৫- কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৯-??
মিঠুনও ব্যাপারটা জেনেছেন দল ঘোষণা হওয়ার পরই, “না আমার সাথে কোনও নির্বাচকেরই কথা হয়নি। আপনারা যেভাবে জানেন আমিও সেভাবে জানি। আপনাদের কারও ফোন থেকেই মনে হয় আমি প্রথম জানতে পারি যে আমি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে আছি। এর আগে কিছুই জানতাম না।”
“এটি তো অবশ্যই অন্যরকম একটি অনুভূতি। অনুভূতি তো আর বলে প্রকাশ করা যায় না। সেটা ভেতরেই থাকে।তেমন কিছু আসলে কাজ করেনি সেভাবে। আর তেমন আলাদাভাবে কিছু মনেও হয়নি।”
ওয়ানডের ‘বড়’ টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে অবশ্য অভিজ্ঞতাটা বেশি মোসাদ্দেকেরই। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলেছেন, আর মিঠুনের সম্বল এশিয়া কাপের অভিজ্ঞতা। অবশ্য ২০১৬ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন মিঠুন।
পড়ুন- তাসকিনের কান্না
“যদি আন্তর্জাতিকে ফর্ম খারাপ বলেন, আমার ক্যারিয়ারের দুই তিনটা ম্যাচে আমি খারাপ করেছি। আমার জায়গায় সেই সুযোগগুলো পেয়েছি, টুকটাক অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। ফর্ম আসলে স্থায়ী না। আসবে যাবে এমন অবস্থা সবার জন্যই হবে। আমি যেই প্লাটফর্মে পারফর্ম করার, সেখানে করার চেষ্টা করেছি। যদি সামনে ভালো কিছু হয় তাহলে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে”, বলছেন মোসাদ্দেক।
আর মিঠুন চান শতভাগ প্রস্তুত হয়েই বিশ্বকাপে যেতে, “আসলে অন্যদের তুলনায় বেশি প্রস্তুত কিনা বলতে পারবো না, তবে আমি আমার নিজেরটা বলতে পারবো। আমি চেষ্টা করছি যে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমার দিক থেকে শতভাগ প্রস্তুত হয়ে যেতে।”