ফলো থ্রুতে ঠিকমতো পা-ই ফেলতে পারছিলেন না তাসকিন!
সকালে মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে দেখা হতে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর মুখে প্রসন্ন হাসি। বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়ে গেছে কালই, এবার সেই অর্থে তেমন কোনো বিতর্কও ছিল না। প্রধান নির্বাচকের নির্ভার থাকার কারণটা তাই বলে দিতে হয় না। তাসকিন আহমেদের কান্নার ছবিটাই হয়তো যা একটু খচখচানি হয়ে থাকতে পারে মিনহাজুলের কাছে। তবে আজ তিনি জোর দিয়েই বললেন, বিশ্বকাপ খেলার মতো এই মুহূর্তে ফিটনেস বলেই জায়গা পাননি তাসকিন।
বিশ্বকাপ দল ঘোষণার পর কাল মিরপুরেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তাসকিন, সেই ছবি ভাইরালও হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি উইকেট নিলেও এবার কেন নেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্নও উঠেছে। তবে কাল দল ঘোষণার সময় যা বললেন, আজ আবারও জোর দিয়েই সেটি বললেন মিনহাজুল। মনে করিয়ে দিলেন, রূপগঞ্জের বিপক্ষে সাত দিন আগে প্রিমিয়ার লিগে যে ম্যাচটি দিয়ে চোট কাটিয়ে ফিরেছিলেন, সেখানেও ফিট ছিলেন না। প্রথম স্পেল শেষ করার পরেই বাঁ পায়ের ফলো থ্রুতে সমস্যা ছিল তাঁর, বাঁ পা জায়গামতো পড়ছিল না। সেটি নিয়ে ফিজিও বায়েজিদুল ইসলামকে জিজ্ঞেসও করেছিলেন মিনহাজুল। আজ জোর দিয়েই বললেন, ‘বিশ্বকাপ খেলার মতো অবস্থায় থাকলে তাসকিনকে অবশ্যই বিবেচনা করতাম। কিন্তু আনফিট খেলোয়াড়কে নিয়ে তো ইংল্যান্ড যেতে পারি না। সেরে ওঠার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার তার।’ মিনহাজুল বলেছেন, পূর্ণ ছন্দে ঠিকমতো বল করতে হলে আরও অন্তত পাঁচটির মতো বোলিং সেশন দরকার তাসকিনের। এরপরেই তাঁকে পুরোপুরি ফিট বলা যেতে পারে।
বিসিবির একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, বাদ পড়ার পর তাসকিন নির্বাচকদের এসএমএস করে তাঁকে দলে নেওয়ার আকুতিও জানিয়েছেন। যদিও আপাতত তাতে কাজ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। নিজের ম্যাচ ফিটনেস প্রমাণ করলে আর কারো চোট হলেই তাসকিনের সামনে খুলতে পারে বিশ্বকাপের দরজা।