সসের সঙ্গে চিকেন আর বেবিস ডে আউট, ১৩ বছর বয়সী মেসির যত কথা
লিওনেল মেসি এখন শিরোনাম হন প্রতিদিন। চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচেও আরেকবার সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তবে ৩১ বছর বয়সে এসে এখন অনেক পরিণত তিনি। মিডিয়ার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, কী বলতে হয়- সেসব নিয়ে এতদিনে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা হয়ে গিয়েছে তার। কিন্তু ১৩ বছর বয়সী মেসি কেমন ছিলেন? তার পছন্দের খাবার বা সিনেমাই ছিল কোনটা?
২০০০ সালে লা কাপিতাল নামে এক পত্রিকা সাক্ষাৎকার নিয়েছিল মেসির। টুইটারে আর্জিসাবেয়া নামে এক প্রোফাইল থেকে ১৯ বছর পুরনো সেই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর সেটাও হয়ে গেছে আলোচনার বিষয়বস্তু। নিঊওয়েলস ওল্ড বয়েজ ক্লাবের জার্সি পরা হাস্যোজ্বল মেসির সাদাকালো একটি ছবির শিরোনাম ছিল, "লিওনেল আন্দ্রেস মেসিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া"। ওই সংবাদের শুরুতে লেখা ছিল, "লিওনেল মেসি দশম ডিভিশনের একজন খেলোয়াড়, দলের আক্রমণ আর মাঝমাঠের এক সুতোয় গাঁথে সে।"
"সে নিউওয়েলসের অন্যতম প্রতিভাবান খেলোয়াড়ই নয়, তার জন্য অপার ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। উচ্চতায় কম হলে, সে কয়েকজনকে কাটিয়ে গোলও করতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা, সে আসলে বল পায়ে খেলাটা উপভোগ করে। আমরা আজ তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।"
এই সাক্ষাৎকারের কয়েকদিন পরই বার্সেলোনার উদ্দ্যেশ্যে দেশ ছাড়েন মেসি। পরের গল্পটা তো সবারই জানা। কিন্তু সে সময়ের সেই সাক্ষাৎকারটা জেনে নেওয়া যাক...
একজন আইডল : দুইজন, আমার বাবা হোর্হে আর গডফাদার ক্লদিও
একজন কোচ : সবাই, কারণ সবার কাছ থেকেই আমি শিখেছি
একজন ফিজিক্যাল ট্রেইনার : পাবলো সানচেজ
একটি দল : নিউওয়েলস
শখ : গান শোনা
গানের ধরন : কুয়ারতেতো (আর্জেন্টিনার কর্দোবার সঙ্গীত)
ম্যাগাজিন : পাসিওন রোহিনেগ্রা (নিউওয়েলস ক্লাবের ফ্যান ম্যাগাজিন)
বই : বাইবেল
প্রিয় সিনেমা : বেবিস ডে আউট
অন্য খেলা : হ্যান্ডবল
প্রিয় খাবার : সসের সাথে চিকেন
প্রিয় বিষয় : ভাষা
কি হতে চাও : শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক
লক্ষ্য : সেকেন্ডারি স্কুল শেষ করা
প্রিয় স্মৃতি : যখন আমরা চ্যাম্পিয়ন হলাম
দুঃসহ স্মৃতি : দাদীর মৃত্যু
স্বপ্ন : নিউওয়েলসের হয়ে ফার্স্ট ডিভিশনে খেলা
আজীবন মনে থাকবে : দাদী যখন প্রথমবার ফুটবল খেলতে নিয়ে গেল