ম্যারাথন সফরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলার কথা বললেন তামিম
সবচেয়ে লম্বা সময় দেশের বাইরে কাটিয়েছেন কবে?
একটু ভাবলেন তামিম ইকবাল। ২০০৭ বিশ্বকাপের সময় সব মিলে প্রায় ৫২ দিনের মতো দেশের বাইরে থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। তবে এবারের আয়ারল্যান্ড আর বিশ্বকাপ সিরিজ মিলে ছাড়িয়ে যাচ্ছে সবকিছু। ১ মে আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা হবে দল, সেখানে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ হবে ১৭ মে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে, সেই হিসেবে অন্তত ৬৫ দিন আয়ারল্যান্ড আর ইংল্যান্ডে থাকতেই হচ্ছে। আর সেমিফাইনালে উঠলে সেটা হয়ে যেতে পারে প্রায় ৭০ দিনের। দেশের বাইরে টানা এত সময় কখনোই কাটাননি তামিমরা!
ত্রিদেশীয় সিরিজের অন্তত চারটা ম্যাচ, এরপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি আর মূল পর্ব মিলে আরও অন্তত ১১টি, সামনের বেশ কিছু দিন ২২ গজকেই জীবনের ধ্রুবতারা করতে হবে বাংলাদেশ দলকে। তামিম তাই আয়ারল্যান্ড সিরিজে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলার বিকল্প দেখছেন না, 'নেতিবাচক যদি ধরতে হয় তাহলে একটাই নেগেটিভ দিক আছে সেটা হলো, আমরা হয়তোবা দেড় মাসের মধ্যে ১৩-১৪টা ম্যাচ খেলবো। তাছাড়া আর কোন নেতিবাচক কিছু আমি দেখি না। কারণ, ওইসব কন্ডিশনে আমরা খুব বেশি খেলার সুযোগ পাই না। আমার কাছে মনে হয়, বিশ্রাম দেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। যখন যার রেস্ট দরকার হয়। কারণ, আমরা সবাই জানি যে বিশ্বকাপে বিশ্রামের কোনো সুযোগই থাকবে না। সো আয়ারল্যান্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের ওখানে পাঁচটা ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে বাট ওখানেও দুইটা-একটা ম্যাচ করে যদি একটু পরিবর্তন করা হয় সবাইকে তাজা রাখার জন্য, তাহলে সেটা হবে গুরুত্বপূর্ণ।’'
দুই বছর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেও আয়ারল্যান্ডে ক্যাম্প করেছিল বাংলাদেশ। তামিম সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার একটু সতর্ক, ‘ আমার কাছে মনে হয় কন্ডিশনটা একটা চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ আয়ারল্যান্ড এমন একটা দেশ যেখানে আমরা খুব বেশি খেলি নাই। শেষ যেবার খেলেছিলাম, তখনও উইকেট খুব একটা সহজ ছিল না। সেটা কঠিনই হবে। তাই আমার কাছে মনে হয় আগের সাতটা দিন এবং প্রস্তুতি ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচটা আমরা কিভাবে শুরু করি সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ, সেখানে আরও একটা প্রতিপক্ষ থাকবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যারা এখন খুব ভালো ফর্মে আছে। তাই সেখানে ভালোভাবে সফর শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
দেশে অবশ্য এখন কাঠফাটা গরম। এর মধ্যেই ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে করতে হচ্ছে অনুশীলন। তামিম অবশ্য দেশে এভাবে অনুশীলন করার একটা সুবিধা দেখছেন, ‘আবহাওয়া সম্ভবত একদমই আলাদা হবে। একটা যে জিনিস, আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, পরিশ্রম আমরা এখানে করে নিচ্ছি। আমাদের এরকম আবহাওয়ায় দৌড়ানো, ব্যাটিং করা, ফিল্ডিং করা, জিম করা - এটা খুব চ্যালেঞ্জিং। এই যে কষ্টটা আমরা এখানে করে নিচ্ছি, যখন আমরা ওরকম আবহাওয়ায় যাব, আমার কাছে মনে হয় যে অন্তত ফিজিক্যাল ফিটনেসের দিক থেকে হেল্প করবে।’