• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    গতির অভাব ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে : আশরাফুল

    গতির অভাব ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে : আশরাফুল    

    বিশ্বকাপের দল নিয়ে বিতর্ক এখন অনেকটাই স্তিমিত। বরং দলে শক্তি-দুর্বলতার জায়গা কী, সেটি নিয়েই চলছে কাঁটাছেড়া। সাবেক-বর্তমান অনেক খেলোয়াড়ই জানাচ্ছেন নিজের মত। মোহাম্মদ আশরাফুলও আজ যেমন মিরপুরে বললেন, ব্যাটিং শক্তিশালী হলেও পেস বোলিংয়ে গতির অভাব ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে।

    বিশ্বকাপের ১০টি দেশই ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছে। সেসব নিয়েই এখন চলছে ব্যবচ্ছেদ। বাংলাদেশ এবার স্মরণকালের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল নিয়েই যাচ্ছে, ৮৭টি গড়ে ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ১৫ জনের। শুধু ভারতের ক্রিকেটারদেরই (গড়ে ১০৫টি) এর চেয়ে বেশি ওয়ানডের অভিজ্ঞতা আছে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে এই অভিজ্ঞতাই বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, ‘এটা নিয়ে আমরা পাঁচ নম্বর বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। বিশ্বকাপের হিসেবে আমি বলব যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল। পাঁচ জন ক্রিকেটার আছেন যারা ১২ বছরের ওপরে খেলছেন। যেহেতু এবারের ফরম্যাট একটু ভিন্ন, লাস্ট তিনটা বিশ্বকাপে কিন্তু সফল, আমরা তিনটা করে জয় পেয়েছিলাম। কিন্তু এবারে যদি সেমিফাইনালে যেতে হয়, আমাদের কমপক্ষে ৫-৬টা ম্যাচ জিততে হবে। আমাদের অ্যাডভানটেজ আমি মনে করি ব্যাটসম্যানরা। মুশফিক, সাকিব, তামিম, মাহমুদুল্লাহ... ওরা কিন্তু এটা নিয়ে চারটা বিশ্বকাপ খেলবে। এবং ওরা কিন্তু বেস্ট টাইমে আছে। এই একটা অ্যাডভানটেজ। ওরা যদি বেস্টটা দিতে পারে, কারণ ওদের দিনে একাই ম্যাচ জেতাতে পারে ওরা।’

    ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ না খেললেও এখানে দারুণ কিছু সুখস্মৃতি আছে আশরাফুলের। ২০০৫ সালে কার্ডিফের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সেই জয়ের নায়ক ছিলেন, সেবার নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে খেলেছিলেন ৯৪ রানের আরেকটি দারুণ। সেই ম্যাচগুলো ছিল জুনেই, ইংলিশ গ্রীষ্মে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ইংলিশ গ্রীষ্মে ব্যাট করাটা সহজ হবে মনে করছেন, ‘ইংল্যান্ডে জুন-জুলাইতে ব্যাটিং করে অনেক মজা লাগে। ওয়েদারও খুব গরম থাকে। আমাদের মতই গরম থাকে। বিশ্বকাপ ইভেন্ট গুলোতে ব্যাটিং উইকেটই হয় সাধারণত। ট্রু ব্যাটিং উইকেট হবে। বোলারদের যদি এক্সট্রা পেস থাকে। তাহলে অনেক কাজে দিবে। আর যদি আভারেজ পেস হয়। তাহলে ব্যাটিং করা অনেজ সহজ। অবশ্যই যত দিন যাবে উইকেট তত স্পিন সহায়ক হবে। কিন্তু উইকেট হবে ৩২০+ এর উইকেট, প্রতি ম্যাচেই।’

    বাংলাদেশের বোলারদের কাজটা সহজ হবে না, সতর্ক করছেন আশরাফুল। গতির সমস্যাও ভোগাতে পারে বলে মনে করছেন, ‘যে ধরনের উইকেটে খেলা হবে এবং আমাদের বোলারদের যেই গতি, এই জায়গায় মনে হয় আমরা একটু পিছিয়ে থাকব। আমাদের বেশির ভাগ বোলারই, শুধু রুবেল শুধু ১৪০ গতিতে বল করতে পারে, বাকিরা ১৩০-১৩৫ এইরকম। তারপরও দেড় মাস সময় আছে। আমাদের একটা অ্যাডভান্টেজ থাকবে যে মাশরাফি অধিনায়ক। কারণ সে বেস্ট ক্যাপ্টেন। ভালো একটা লিডার থাকলে এইসব ছোটখাটো জিনিস গুলো কাটিয়ে উঠতে পারবে। সিনিয়ররা যদি তাদের সেরাটা দিতে পারে এবং জুনিয়ররা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে, তাহলে ভালো কিছু আশা করতে পারি। কিন্তু ম্যাচপ্রতি চিন্তা করলে একটু কঠিন। ওই ধরনের কন্ডিশনে আমাদের থেকে বাকি দল গুলো একটু এগিয়ে। ’

     

     

    আশরাফুল নিজেও বিশ্বকাপের সময় ইংল্যান্ডেই থাকবেন। ২০১২ সালে কেন্ট প্রিমিয়ার লিগ খেলেছিলেন। এবার সেটি খেলতেই যাচ্ছেন ব্ল্যাকহিথ সিসির হয়ে। সাড়ে চার মাস সেখানে থাকবেন, বিশ্বকাপটাও তাই দেখতে পাবেন কাছ থেকে।