বিশ্বকাপের সময় ফেসবুক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ মাশরাফির
মাস ছয়েক আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিরেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করলেন সৌম্য সরকার। সংবাদ সম্মেলনে সেদিন একটু আক্ষেপ করেই বলেছিলেন, ফেসবুকের নেতিবাচক মন্তব্য একটু হলেও বিপন্ন করেছিল তাঁকে। সেজন্য ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। এই যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবটা অস্বীকার করারও কোনো উপায় নেই। তবে আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফি বলেছেন, বিশ্বকাপের সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকাটাই খেলোয়াড়দের জন্য ভালো।
এখনকার যুগে ফেসবুক-ইন্সটাগ্রাম-টুইটারে বাংলাদেশ দলের প্রায় সবারই অ্যাকাউন্ট আছে। এই যুগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম থেকে দূরে থাকাটা পুরাণকালে অনেকটা বাণপ্রস্থে চলে যাওয়ার মতোই। এ নিয়ে তাই বিধিনিষেধ জারিও কোনো দরকার দেখেন না মাশরাফি। সেটা খেলোয়াড়দের যার যার ওপরেই ছেড়ে দিতে চান, ‘আসলে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের ক্রিকেট ভালো খেলতে বা খারাপ খেলতে কখনো সহায়তা করবে না। বিশেষ করে আমাদের দেশের সোশ্যাল মিডিয়ার এখন যে অবস্থা। তাই এটা থেকে দূরে থাকতে পারলেই ভালো। এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি যেমন আছি, আমাকে যেমন এফেক্ট করে না। সাকিবকেও যেমন এফেক্ট করে না। আবার কাউকে কাউকে হয়তো করে। এখন যে যেভাবে সামলায়।’
২০১৫ বিশ্বকাপে যেমন পাকিস্তান দল বিজ্ঞপ্তি দিয়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল খেলোয়াড়দের। তাতে কতটা ফল হয়েছিল, তা অবশ্য তর্কসাপেক্ষ। মাশরাফি আইন করে কিছু করতে চান না। তবে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে খেলোয়াড়দের ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকারই পরামর্শ দিলেন, ‘এটা আসলে আইন করে করা যায় না। তবে আপনি যেমন বললেন, এটা থেকে দূরে থাকাই ভালো। কারণ দুইটা মাস আমার কাছে মনে হয় বিশ্বকাপে পুরো মনযোগ দেওয়া উচিত। আমাদের জন্য বা দেশের জন্য সেটা ভালো হবে।’
সাম্প্রতিক ইতিহাসই বলে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে মাশরাফির উদ্বেগের জায়গাটা কোথায়। গত বছরেই ফেসবুকে একজনকে অশ্রাব্য কথা বলে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান, যেটি আবার তড়িঘড়ি করে উঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপের সময় এমন কিছু হোক, সেটা নিশ্চয় চাইবেন না মাশরাফি!