"বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে ভেঙে পড়েছেন হেলস"
২১ দিনের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন আগেই। আনন্দবর্ধক ড্রাগ নেওয়ার শাস্তিটা যে এত বেশি হবে, সেটা হয়ত ভাবেননি অ্যালেক্স হেলস। ড্রাগ নেওয়ার শাস্তি হিসেবে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকেই বাদ পড়েছেন হেলস। হেলসের ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে খুব বেশি ভেঙে পড়েছেন হেলস।
কিছুদিন আগে স্বেচ্ছায় কাউন্টি ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছিলেন হেলস। বিরতির কারণটা তখন ঠিক জানা যায়নি। এর কয়েকদিন পরেই জানা যায়, আনন্দবর্ধক ড্রাগ নিয়েছিলেন তিনি। এতে তাকে ২১ দিনের নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। হেলসকে শুনতে হয়েছে ভক্ত ও সাবেকদের অনেক সমালোচনাও। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেই ফেরার কথা ছিল তার। সবাইকে অবাক করেই বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে হেলসকে।
হেলসের ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ‘৩৬০ গ্রুপের’ পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ে খুব বেশি হতাশ হেলস, ‘হেলস এমন ঘটনায় খুব বেশি হতাশ। এই হতাশা থেকে বের হতে তার কিছুটা সময় লাগবে। এই বিষয়টা নিয়ে বোর্ড আগে থেকেই আলোচনা চালাচ্ছিল, তাকে কিছু বিষয় জানানোও হয়েছিল। এমন সিদ্ধান্তের পরেও হেলস খেলাটা চালিয়ে যাবেন। তার কাউন্টি ক্লাবও তার পাশে আছে। হেলস ইংল্যান্ডের সবাইকে বিশ্বকাপের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হেলস নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন, ‘হেলসের এমন বাদ পড়ায় আমরা সবাই হতাশ। সে নিজের ভুলের ব্যাপারে জানে। সে এটার জন্য ক্ষমাও চেয়েছিল আগে। তার নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসার পর বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, সবকিছুই সে মানতে রাজি ছিল। এভাবে যে তাকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হবে, সেটা আসলে আমরা কেউই আশা করিনি।’
এদিকে হেলসের বাদ পড়ায় কপাল খুলেছে জেমস ভিন্সের। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ডাক পেয়েছেন তিনি, থাকতে পারেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে সুযোগ পেয়েছেন বেন ডাকেট ও ডেভিড মালান।