• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং : টটেনহাম-আয়াক্স ম্যাচে কে কত?

    প্লেয়ার রেটিং : টটেনহাম-আয়াক্স ম্যাচে কে কত?    

    টটেনহাম

    হুগো লরিস ৫/১০
    আয়াক্সের গোলে করার তেমন কিছু ছিল না। হুট করেই তাকে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন ভ্যান ডি বিক। কিছুক্ষণ পর অবশ্য তাকেই একবার গোলবঞ্চিত করেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে ডেভিড নেরেসের শট বারপোস্টে লেগে ফেরত আসার সময়ও নিরুপায় ছিলেন টটেনহাম গোলরক্ষক।  

    কিয়েরান ট্রিপিয়ার ৪/১০
    প্রথমে খেলেছেন রাইট উইংব্যাক পজিশনে। পরে শিফট করেছেন রাইটব্যাক হিসেবে। কিন্তু কোনোভাবেই ম্যাচের ছন্দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি। সেট পিস থেকেও তার ডেলিভারি হতাশ করেছে টটেনহামকে। ভ্যান ডি বিককে গোলের সময় অনসাইডে খেলিয়েছেন তিনিই। 

    ডেভিনসন সানচেজ ৬/১০
    দুইবার আয়াক্সকে কাউন্টার অ্যাটাকে ভয়ঙ্কর হওয়া থেকে থামিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধে পারফরম্যান্সের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    ইয়ান ভেট্রোনহেন ৫/১০
    ইনজুরি নিয়ে প্রথমার্ধেই মাঠ ছেড়েছিলেন। এর আগে কিছুক্ষণ লেফটব্যাক পজিশনে ভালোই খেলছিলেন। তবে তিনি মাঠ ছাড়ার পর তার দলের খেলায় কিছুটা লাভই হয়েছিল।

    টবি অ্যাল্ডারভাইরেল্ড ৬/১০
    টটেনহাম শুরু করেছিল থ্রি ম্যান ব্যাকলাইন নিয়ে। তখন পুরোটা সময় হাবুডুবু খেয়েছেন আয়াক্সের আক্রমণের স্রোত সামলাতে। প্রথমার্ধের শেষদিকে স্পার্স ফেরে চারজনের ব্যাকলাইনে। এরপর বাকি সময় ভালোই খেলেছেন বেলজিয়ান ডিফেন্ডার।

    ড্যানি রোজ ৪/১০
    আয়াক্সের বিপক্ষে অকার্যকর ছিলেন পুরোটা সময়। তার ক্রসগুলোও হতাশ করেছে দলকে।

    ক্রিশ্চিয়ান এরিকসের ৪/১০
    মোটেই সুবিধা করতে পারেননি। সেট পিসেও আজ নিখুঁত ছিলেন না। মিডফিল্ডে প্রায় পুরোটা সময়ই আয়াক্সের কাছে হার মেনেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে যদিও দলের সঙ্গে তার অবস্থাও ফিরেছিল। তবে এরিকসেন তো এর চেয়েও বহুগুণ ভালো!

    ভিক্টর ওয়ানিয়েমা ৪/১০
    দশ মাস ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিলেন। মাউরিসিও পচেত্তিনোর কাছেও আর কোনো অপশন ছিল না। এর চেয়ে ভালো কিছুও হয়ত তার কাছ থেকে আশা করেননি স্পার্স ম্যানেজার।

    ডেলে অ্যালি ৫/১০
    হতাশ করেছেন পুরোটা সময়। ভালো একটা সুযোগ পেয়েও হেড করেছিলেন ওপর দিয়ে।

    ফার্নান্দো ইয়োরেন্তে ৫/১০
    লিংক আপ প্লে ভালো ছিল। কিন্তু সেটা কাজে আসেনি। গোলের সামনে একেবারেই ভীতি ছড়াতে পারেননি আয়াক্সের রক্ষণে। প্রথমার্ধে ভালো জায়গায় হেড পেয়েও মেরেছিলেন বাইরে দিয়ে।

    লুকাস মউরা ৬/১০
    আয়াক্সকে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। যদিও সুবিধা করতে পারেননি তেমন।

    বদলি
    মুসা সিসোকো ৬/১০

    ভের্টোনহেনের বদলি হয়ে নামার পর স্পার্সের খেলায় গতি ফিরেছিলেন। মিডফিল্ডেও শারীরিক যে শক্তিটা দরকার ছিল সেটা পেয়েছে টটেনহাম।

    বেন ডেভিস, হুয়ান ফয়েথ
    শেষ দশ মিনিটের জন্য নেমেছিলেন। ফয়েথ বাকি সময়ে ভালো দুইটি ক্রস করেছিলেন।


    আয়াক্স

    আন্দ্রে ওনানা ৭/১০
    আয়াক্সের হাইলাইন ডিফেন্সের পেছনে ফাঁকা জায়গায় বারবার সামনে এসে একে একে লুফে নিয়েছেন সব আক্রমণ। পুরো ম্যাচে অবশ্য তেমন কিছু করতে হয়নি। তবে স্বভাবসুলভ ছোট পাস আজ দিতে পারেননি। বেশিরভাগ সময়ই লং বল মারতে হয়েছিল তাকে স্পার্সের প্রেসিংয়ের বিপরীতে।

    জোল ভেলটম্যান ৮/১০
    প্রথমার্ধে মউরাকে দারুণভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন ডিবক্সের ভেতর থেকে। পেছন থেকে ট্যাকেল করেছিলেন, নিখুঁত হতে হত। নইলে পেনাল্টিও দিয়ে বসতে পারতেন। কাজটা ঠিকঠাক করেছেন। দ্বিতীয়ার্ধেও ভালো একটা ক্লিয়ার করেছেন।

    ম্যাথিয়াস ডি লিট ৮/১০
    চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট পর্বে এতো সহজ পরীক্ষা এর আগে দেননি। ইয়োরেন্তে একেবারেই ভোগাতে পারেননি তিনি। সুন্দর পাসিংয়ে দৃষ্টি কেড়েছেন।

    ড্যালে ব্লিন্ড ৭/১০
    উচ্চতায় পিছিয়ে থেকেও ইয়োরেন্তেকে আটকে রাখতে সমস্যা হয়নি। মউরাকেও খুব বেশি দূর যেতে দেননি।

    নিকোলাস টালিয়াফিকো ৫/১০
    প্রথমার্ধেই এরিকসেনকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছেন। এছাড়া মোটামুটি সলিড ছিলেন। তবে আক্রমণে তেমন সাহায্য করতে পারেননি, যেমনটা সাধারণত করেন তিনি।

    ডনি ভ্যান ডি বিক ৯/১০
    এক কথায় অসাধারণ! প্রথম আধঘন্টা মন্ত্রমুগ্ধ করার মতো ফুটবল খেলেছেন। স্ট্রাইকার নন, কিন্তু খেলেছেন স্ট্রাইকে। মিডফিল্ডার নন, খেলেছেন সেখানেও। কোথায় ছিলেন না তিনি? আর গোলটিও তো তারই করা। প্রথম ডামিতেই হার মানিয়েছিলেন লরিসকে। পরের শটে করেছেন গোল।

    লাস শোন ৭/১০
    বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় খুব একটা খুশি ছিলেন না। বক্স টু বক্স মিডফিল্ড রোলে খেলেছেন ভালোই। প্রথমার্ধে আয়াক্সের আধিপত্যে তার অবদানও কম নয়।

    ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং ৭/১০
    নিখুঁত টাচ, দুর্দান্ত পাসিং, অসাধারণ প্রেসিং- সবই দেখা গেছে তার পায়ে। তবে সেটা কেবল প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে সেভাবে প্রভাব রাখতে পারেননি। পুরো ম্যাচে অবশ্য সবচেয়ে বেশি পাস দিয়েছেন ২১ বছর বয়সী মিডফিল্ডারই।

    হাকিম জিয়েচ ৭/১০
    গোলের অ্যাসিস্টটা তার। নিখুঁত থ্রু পাস বাড়িয়েছিলেন দুই ডিফেন্ডারের মাঝে দিয়ে। আরও একটি অ্যাসিস্ট পেয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু নেরেসের শট বারে লেগে ফিরে আসায় সেটা হয়নি।

    ডেভিড নেরেস ৭/১০
    ট্রিপিয়ারকে প্রায় পুরোটা সময় নিজের অর্ধেই বন্দি করে রেখেছিলেন। থ্রি ম্যান ব্যাকলাইন খেলানোর কৌশলটা তাই মাঠে মারা গেছে পচেত্তিনোর। গোলটা পেতে পেতেও পাননি বারপোস্টের কারণে।

     

     

     

    ডুসান টাডিচ ৫/১০
    টটেনহামের গোলের সামনে বারবার হামলে পড়েছেন। যদিও তার ইংল্যান্ড ফেরাটা গোল দিয়ে উদযাপন করা হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে খুব বেশি দেখা যায়নি তাকে।

    মারজাউই, ক্লাস ইয়ান হুন্টেলার
    মারজাউই ম্যাচের ২৫ মিনিট থাকতে নেমেছিলেন শোনের জায়গায়। ফুলব্যাক হলেও খেলেছেন ডিফেন্সিভ মিডে। হুন্টেলার নেমেছিলেন একেবারেই শেষদিকে।