আর কখনো মাঠে নামতে পারবেন না ক্যাসিয়াস?
হঠাৎ করেই বুকের ব্যাথায় যেতে হয়েছিল হাসপাতালে। অথচ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ও ইকার ক্যাসিয়াস বুঝতে পারেননি, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। ফাঁড়াটা কেটে গেছে আপাতত, ক্যাসিয়াসকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে হাসতে দেখে গোটা ফুটবলবিশ্বের ওপর থেকেও নেমে গেছে পাষাণভার। তবে জীবনের শংকা না থাকলেও আর কখনো গোলপোস্টের নিচে দাঁড়াতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে থেকে গেছে বড় একটা প্রশ্ন। স্পেনের কয়েকজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের শংকা, হৃদপিন্ডে রিং বসানোর ধাক্কা কখনোই সামলে উঠতে পারবেন না স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
গতকালই হঠাৎ করেই বুকের ব্যথায় হাসপাতালে যেতে হয়েছিল ক্যাসিয়াসকে। এর পরেই জানা যায়, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। ফুটবলবিশ্ব একযোগে মগ্ন ছিল তাঁর জন্য প্রার্থনায়, সেটি দিন শেষে বৃথা যায়নি। তবে স্প্যানিশ কার্ডিওলজিস্ট হুয়ান আন্তোনিও কোরবালান আশংকা করছেন, ক্যাসিয়াস হয়তো আর আদৌ মাঠে নামতে পারবেন না, ‘হৃৎপিন্ডে রিং নিয়ে তার জন্য মাঠে ফেরাটা খুব খুব কঠিন, বিশেষ করে একজন গোলরক্ষকের জন্য আরও বেশি। এ হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে কিন্তু পেশাদার গোলকিপিং আর করতে পারবে বলে মনে হয় না’।
কাডেনা সারে আরেক কার্ডিওলজিস্ট হোসে কালাবুইগ দেখিয়েছেন সতর্ক প্রতিক্রিয়া, ‘শারীরিকভাবে যদি দাগটা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে সেরে যায় তাহলে ওর পেশীর দেয়ালে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা পুরোপুরি ঠিক হতে পারে। তবে সবকিছু বোঝা যাবে তিন থেকে ছয় মাস পর। সবকিছু যদি ভালোয় ভালোয় শেষ হয় তাহলে সে মাঠে ফিরতেও পারে।’ আরেক বিশেষজ্ঞ হোসে গঞ্জালেজ তুলনামূলকভাবে বেশি আশাবাদী, ‘আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ওর শরীর কেমন আচরণ করে তা দেখার জন্য। পরীক্ষার পর কেমন ফল আসে সেটাও দেখতে হবে। সবকিছু ইতিবাচক হলে আমি ওর মাঠে না ফেরার কারণ দেখি না।’
তবে পোর্তো আশা ছাড়ছে না ৩৭ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের। ক্যাসিয়াসের সঙ্গে চুক্তিটা আরও এক বছর আছে, সেই এক বছর পোর্তো তাঁকেই চায়। তবে এই মুহূর্তে এসব নিয়ে আলোচনা করতে রাজি নন ক্যাসিয়াসের এজেন্ট কার্লোস কুত্রোপিয়া। ইকারের সুস্থ হয়ে ওঠাটাই তাঁর কাছে সবার আগে।