সংবাদমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার খবরই কাল হয়েছে হেলসের, স্বীকার জাইলসের
সংবাদমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার খবর না এলে অ্যালেক্স হেলস এখনও ইংল্যান্ড স্কোয়াডে থাকতে পারতেন বলে স্বীকার করেছেন ইসিবির মেনস ক্রিকেট ডিরেক্টর অ্যাশলি জাইলস। অবশ্য তিনি বলেছেন, স্কোয়াড থেকে হেলসকে বাদ দেওয়ার কারণ শুধু তার সেই ‘অপরিণামদর্শী কাজ’-নয়, বরং তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু সময় ধরে তার “ত্রুটিপূর্ণ আচরণ” ও “তার নিষেধাজ্ঞার সংবাদে বাকি ক্রিকেটারদের ওপর প্রভাব” এর কথা চিন্তা করে।
গার্ডিয়ান রিপোর্ট করার আগ পর্যন্ত নটিংহ্যামশায়ার ও হেলসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে আছেন তিনি। কার্ডিফে প্রাক-মৌসুম ক্যাম্পে এসে ক্রিকেটাররা জানতে পারেন, হেলস আদতে ‘রিক্রিয়েশনাল’ বা ‘আনন্দবর্ধক’ ড্রাগ নেওয়ার দায়ে নিষিদ্ধ আছেন ২১ দিনের জন্য। তবে নিয়ম অনুযায়ী ইসিবি এটি গোপন রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক বা নির্বাচকদের কাছ থেকেও। এরপর সোমবার বিশ্বকাপসহ যেসব স্কোয়াডে হেলস ছিলেন, সেসব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
হেলসের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জাইলস ছাড়াও জানতেন শুধু ইসিবির সিইও টম হ্যারিসন, ইসিবির চিফ মেডিক্যাল অফিসার নিক পিয়ার্স। তবে ‘গোপন রাখার বাধ্যবাধকতার’ কারণে নির্বাচকদের এ ব্যাপারে কিছু জানাননি জাইলস। এখন তিনি বলছেন, “এই সংবাদ প্রচার হওয়ার কারণেই আমরা এখন এই অবস্থায় এসেছি। কেউ এটাকে ঠিক বা ভুল ভাবতে পারেন, তবে ব্যাপারটা এমনই। এটা আমাদের হাতে নেই।”
এর আগে হেলসের সঙ্গে দলের ‘আস্থার জায়গাটা ভেঙে পড়েছিল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন অধিনায়ক ওইন মরগান। সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে মিটিংয়ের পরই তারা জাইলসকে জানিয়েছিলেন, হেলসকে স্কোয়াডে চান না তারা।
“ওইন কী চায়, সেটা সে পরিস্কার করে বলেছে। নির্বাচকরাও এ ব্যাপারে সর্বতভাবে একমত হয়েছেন, এ ব্যাপারে আমার ও টমের সমর্থন পেয়েছেন”, বলেছেন জাইলস। তবে হেলসের ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে বলা তার বিশ্বকাপ স্কোয়াডের জায়গার নিশ্চয়তা নিয়ে তিনি বলেছেন, “তার বিবৃতিতে এমন কিছুও ছিল, যা সহায়তা করে না এক্ষেত্রে। বিশ্বকাপের জায়গা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।”
পুরো ব্যাপারটা নিয়ে ইসিবির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সমস্যা আছে কিনা, তার জবাবে জাইলস বলেছেন, “আমাদের গোপনীয়তা রক্ষার একটা দায়িত্ব ছিল, আমরা সেটা করেছি। দূর্ভাগ্যজনকভাবে, কেউ সেটা করেনি, মাঠের বাইরের একটা ঘটনা বেরিয়ে পড়েছে। যদি কোনও পদ্ধতি ঠিকঠাক কাজ না করে, তবে সেটা চলমান পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যাতে পরবর্তীতে এটা ঠিকঠাক কাজ করে।”
“তবে শুক্রবার যেটা খবরে এসেছে, ইংল্যান্ড দলের পরিবেশের ওপর এর প্রভাব, সেটা বেশ জোরালো। আমাদের ৪০-৫০ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গ্রীষ্মটা আসছে, বিশ্বকাপে যাতে আমরা সেরা একটা কাঠামো নিয়ে যেতে পারি সেটা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। দলের পরিবেশে এটা বেশি বড় একটা আঘাত ছিল।”
আপাতত নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হেলসের সামনে ইংল্যান্ডের দরজা বন্ধ হয়নি জানালেও জাইলস বলেছেন, তার সামনে পড়ে আছে বেশ কিছু কাজ।