• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর অনেক 'যদি, কিন্তু' কেটে গেছে: সাকিব

    ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর অনেক 'যদি, কিন্তু' কেটে গেছে: সাকিব    

    দাপুটে জয়ে শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। বাংলাদেশ দল স্বাভাবিকভাবেই এখন বেশ ফুরফুরে। কালই অবশ্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে, তবে আজ বৃষ্টির জন্য অনুশীলন করতে পারেনি দল। টিম হোটেলেই সাকিব আল হাসান কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। বলেছেন, প্রথম ম্যাচের আগে  যেসব ‘যদি, কিন্তু’ ছিল তার অনেকটাই কেটে গেছে।

    ৩০ বল হাতে রেখে কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী কে হবেন, মিরারজ কতটুকু কার্যকর হবেন- এমন বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল। তার অনেক কিছুর ইতিবাচক উত্তরই পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। সাকিব এই ব্যাপারটাই মনে করছেন বেশ গুরুত্বপূর্ণ, ‘সবাই এটাতে অনেক আত্মবিশ্বাস পাবে। কারণ এমন ক্লিনিক্যাল পারফরম্যান্স আমরা খুব বেশি করি না। এখানে এত ভালো একটা পারফরমান্স, দলের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে এই মুহূর্তে সবাই কত আত্মবিশ্বাসী আছে। প্রথম ম্যাচের পর অনেকের মধ্যে হয়তো কিন্তু যদি, কিন্তু ছিল; এখন সেটা অনেকটাই কেটে গেছে।’

     

     

    কাল যেভাবে বাংলাদেশ খেলেছে, তাতে দল হিসেবেও অনেক ইতিবাচক কিছু দেখেন সাকিব, ‘আসলে শুরুটা তো আমরা খুব একটা ভালো করিনি। আমার কাছে মনে হয় আমি ও মিরাজ যে সময় বল করছিলাম সেটা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময়ে আমাদের বোলিং জুটি ভালো হচ্ছিল, দুজন ব্রেক থ্রুও পেয়েছি। ওরা যেভাবে শুরু করেছিল একটা সময়ে আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল ৩০০-৩২০ হবে। আমাদের দুজনের ভূমিকা অনেক বেশি ছিল। তার ওপর সবাই আবার ব্যাকআপ করেছে। পেসাররা শুরুতে ভালো করতে না পারলেও ভালো কামব্যাক করেছে। সেটার জন্যও স্পিনারদের অবদান আছে।’

    সাকিবের নিজের জন্যও এই ম্যাচটা একটু হলেও অন্যরকম। অনেক দিন পর জাতীয় দলে ফিরে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবখানেই বড় ভূমিকা রেখেছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাইলেন না, ‘বলতে পারব না, ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্ট আমাদের বোলিং জুটি। ওই সময় আমরা সাত ওভার বল করেছি। কম রান দিয়ে দুইটি উইকেট নিয়েছি। ওইটা বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল।’

    তবে এতদিন বাদে মাঠে নামাটা যে একটু অন্যরকম সেটি স্বীকার করলেন, ‘অবশ্যই ভালো লাগে। প্রায় ছয় মাস পর জাতীয় দলের হয়ে খেললাম স্বাভাবিকভাবে একটু নার্ভাসনেস কাজ করতেই পারে। যেহেতু অনুশীলন ম্যাচ ভালো করছিলাম, আত্মবিশ্বাস ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো এমন একটা বোলিং অ্যাটাকের সঙ্গে ভালো করা দারুণ ব্যাপার। শুরুটা ভালো হয়েছে, এটা এখন ধরে রাখতে হবে।’

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে কাল ছিল একটা অদৃশ্য প্রতিপক্ষ, ঠাণ্ডা। ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সঙ্গে ছিল কাঁপন ধরানো হিমেল বাতাস। সাকিব অবশ্য সেটারও একটা উপায় খুঁজে বের করে ফেলেছেন, ‘কঠিন (ঠাণ্ডা কাটানো) কিন্তু পথ বের করা যায়। কীভাবে নিজেকে গরম রাখা যায়, ম্যাচের ভেতর নিজেদের আরও বেশি মগ্ন রাখা যায়। ওরকম যদি মগ্ন রাখা যায় তাহলে ঠাণ্ডাটা মনে নাও হতে পারে। এভাবেই আমি চেষ্টা করেছি, অন্যরাও হয়তো ওভাবে চেষ্টা করেছে। সেটা হলেই ঠাণ্ডার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়।’