রাবাদাকে নিয়ে আশাবাদী দক্ষিণ আফ্রিকা, অনিশ্চিত স্টেইন-এনগিডি
চোট পাওয়া পেসার কাগিসো রাবাদাকে বিশ্বকাপে পাওয়ার আশা ছাড়ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। আইপিএলে পিঠে চোট পাওয়া পেসারের সেরে উঠতে এখনও ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগবে, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল টিম থেকে বলা হয়েছে, টুর্নামেন্টে তাকে পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তারা। চোট পাওয়া অন্য দুই পেসার ডেল স্টেইন ও লুঙ্গি এনগিডিকে নিয়ে অবশ্য নিশ্চিত করে বলা হয়নি কিছু, তবে দলের সঙ্গে সফর করছেন তারা।
দিল্লীর হয়ে আইপিএলটা দারুণ যাচ্ছিল রাবাদার, এরপরই পেয়েছেন চোট। ৩০ মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার, সে হিসেবে সময় আছে তিন সপ্তাহেরও কম। ২৩ মের মধ্যে দিতে হবে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াড।
রাবাদার অতীতেও পিঠের সমস্যার রেকর্ড থাকায় তার ব্যাপারে এবার ‘অতি সতর্ক’ নীতি অবলম্বন করছে দক্ষিণ আফ্রিকার, আর তার সেরে ওঠা নিয়ে টিম চিকিৎসক মোহাম্মেদ মুসাজি বলছেন, “কেজির চোট থেকে সেরে ওঠার অনুমিত সময় দুই-তিন সপ্তাহ। আমরা আশাবাই, বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অংশ হতে সে পুরোপুরি সেরে উঠবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণে চোটের আক্রমণ শুধু রাবাদাকে নিয়েই শেষ নয়। সংশয় আছে স্টেইন ও এনগিডিকে নিয়েও। স্টেইনের চোট কাঁধে, আর সাইড-স্ট্রেইন আছে এনগিডির। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বলছে, এই দুজন যুক্তরাজ্য যাবেন, তবে টুর্নামেন্টের আগে সেরে উঠবেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়নি কিছু।
এ ব্যাপারে মুসাজি বলছেন, “নির্বাচকরা নিশ্চিত করেছেন, তাদের হাতে যথেষ্ট ব্যাক-আপ অপশন আছে, যারা স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার হিসেবে আছেন।”
বিশ্বকাপ থেকে এর আগেই ছিটকে গেছেন আরেক পেসার আনরিখ নরকিয়া। তার বদলে দলে ডাকা হয়েছে ক্রিস মরিসকে।
২০১৫ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা সাফল্য সেমিফাইনালই।