• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    দ.আফ্রিকাকে 'নির্ভীক' হয়ে খেলার পরামর্শ ডু প্লেসির

    দ.আফ্রিকাকে 'নির্ভীক' হয়ে খেলার পরামর্শ ডু প্লেসির    

    বিশ্বকাপ যেন তাদের হতাশার অন্য নাম। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে গেলেও সেই ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এবারও ফাফ ডু প্লেসির দলকে ফেভারিটদের তালিকায় রাখছেন অনেকেই। বিশ্বকাপের আগে প্রোটিয়া অধিনায়ক সতীর্থদের উদ্দেশ্য করে বলছেন, ভালো করতে হলে শিরোপা না জেতার ভয় কোনভাবেই মনের ভেতর আসতে দেওয়া যাবে না।

    ১৯৯২ সালের সেই অদ্ভুত বৃষ্টি আইন, ১৯৯৯ সালে সেমিতে অ্যালান ডোনাল্ডের ভুতুড়ে দৌড় কিংবা ২০০৩ সালে শন পোলকের হিসেবে গোলমাল ; বিশ্বকাপ এলে যেন সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যায় প্রোটিয়াদের। শক্তিশালী দল নিয়েও তাই কখনোই ফাইনালে খেলতে পারেনি তাঁরা।

    ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বিশ্বকাপ জিততে হলে বিশেষ কিছু করতে হবে, এমনটা মানতে রাজি নন ডু প্লেসি, ‘আমরা মনে করতাম বিশ্বকাপ জেতার জন্য বিশেষ কিছুর দরকার। কিন্তু এটা আসলে সত্যি না। আমরা গত কয়েক বছরে যেভাবে খেলছি, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেই চলবে। ধারাবাহিকতাটাই সবচেয়ে জরুরী। এক ম্যাচে ৫০ বলে সেঞ্চুরি কিংবা ২০ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ জেতা যায় না।’

    আগে কখনোই বিশ্বকাপে সাফল্য পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। অতীতের রেকর্ড নিয়ে সতীর্থদের মাথা ঘামাতে বারণ করছেন ডু প্লেসি, ‘আমি আগেও বিশ্বকাপে খেলেছি, কতটা চাপ থাকে সেটাও জানি। আমি চাই দলের সবাই চাপহীনভাবে খেলুক, হারার ভয়টা মন থেকে দূরে রাখুক। ইংল্যান্ডে আমাদের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করতে এটার ওপর। সবাইকে তাদের নিজেদের শক্তির জায়গাটা খুঁজে বের করতে হবে। নির্ভার থেকে মাঠে নামাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচে যদি কেউ ক্যাচ মিস করে কিংবা কোন ভুল করে, সেটা নিয়ে বেশি না ভবে সামনের দিকে তাকাতে হবে।’

     

     

    সেরা এগারো ক্রিকেটারকে নিয়েই মাঠে নামতে চান ডু প্লেসি, ‘দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব আমরা। সেখান থেকেই মূল টুর্নামেন্টের একাদশ নির্বাচন করা হবে। যদি আমলা ভালো ফর্মে থাকে তাহলে সে প্রথম ম্যাচেই খেলবে। যদি তার চেয়ে অন্য কেউ ভালো খেলে তাহলে সে খেলবে না। কারো জায়গাই আসলে নিশ্চিত না, যার ফর্ম ভালো থাকবে সেই খেলবে।’

    ৩০ মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ যাত্রা।