• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    ডি ভিলিয়ার্সের পরামর্শেই কলপ্যাক চুক্তি করেননি ডু প্লেসি

    ডি ভিলিয়ার্সের পরামর্শেই কলপ্যাক চুক্তি করেননি ডু প্লেসি    

    কাইল অ্যাবট, রাইলি রুশো, ডুয়াইন অলিভিয়ার; কলপ্যাক চুক্তি কেড়ে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে। তাদের সাথে আজ দলের বর্তমান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির নামটাও থাকতে পারত। ১০ বছর আগে কলপ্যাক চুক্তিকে না বলে দেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন তিনি। সাবেক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স বলছেন, তার পরামর্শেই কাউন্টি ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন ডু প্লেসি।

    ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব নটিংহ্যামশায়ার হয়ে দারুণ পারফর্ম করায় এক যুগ আগে ডু প্লেসিকে দেওয়া হয়েছিল কলপ্যাক চুক্তিতে খেলার প্রস্তাব। তখনও দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি, হয়নি জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকও। তবুও নটিংহ্যামশায়ারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর ল্যাঙ্কাশায়ারও তাঁকে একই প্রস্তাব দেয়। তাদের হয়ে দুই বছর খেললেও ২০১০ সালে পাকাপাকিভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ২০১২ সালে অভিষেকের পর থেকে ডু প্লেসি দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, এখন অধিনায়কও বটে।

    এবি বলছেন, নয় বছর আগে তার পরামর্শেই কলপ্যাক চুক্তি থেকে সরে এসেছিলেন ডু প্লেসি, ‘একটা মুহূর্ত এমন এসেছিল, যখন সে ইংল্যান্ডেই খেলতে চাইতো। সে আমাকে ফোন করল, জিজ্ঞাসা করল আমার মতামত কী। আমি তাঁকে বলেছিলাম, অল্প সময়ের মাঝেই জাতীয় দলের অনেকে অবসর নেবে, অনেক জায়গাও ফাঁকা হবে। দলের কোচ ও অন্যরা তাঁর ব্যাপারে কথা বলছে, অভিষেক থেকে সামান্য দূরত্বেই আছে সে। শেষ পর্যন্ত সে কলপ্যাকে যায়নি। আমি এটার পুরো কৃতিত্ব নেবো না, কিন্তু আমার কথার কারণে সে আফ্রিকার হয়ে খেলেছে, এটা দারুণ ব্যাপার।’

     

     

    একটা সময় স্কুল ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এবি-ডু প্লেসি। ২০০৪ সালে ডি ভিলিয়ার্সের অভিষেক হলেও ডু প্লেসিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও ৮ বছর। জাতীয় দলে আরও আগে সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল ডু প্লেসির, মানছেন এবি, ‘তাঁকে একটু বেশিই অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমার ক্ষেত্রে সেটা অনেক তাড়াতাড়িই হয়েছে। দুইজনের রাস্তাটা অবশ্য ভিন্ন ছিল। তবে ওই সময়টায় নিজেকে প্রস্তুত করেছে ডু প্লেসি। অভিষেকের আগে সে মানসিকভাবে অনেক শক্ত হয়ে উঠেছিল।’

    ডু প্লেসিকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য পরামর্শ দেওয়ায় এবিকে তাই বিশেষ একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন দক্ষিণ আফ্রিকা সমর্থকরা।