বার্নাব্যুতে হেরে মৌসুম শেষ রিয়াল মাদ্রিদের
মৌসুমটা কেবল আনুষ্ঠানিকতার হয়ে পড়েছিল বহু আগেই। জিনেদিন জিদান মৌসুমের তৃতীয় ম্যানেজার হয়ে এসেছিলেন মার্চে। এরপরও ভাগ্য ফেরেনি রিয়াল মাদ্রিদের। শেষটা হলেই যেন বেঁচে যেতেন। কিন্তু পুরো মৌসুমের মতো শেষটাও হলো হতাশার। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল বেটিসের কাছে ২-০ গোলে হেরে মৌসুম শেষ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই মৌসুমে এই নিয়ে লস ব্লাংকোরা হারল ১৩ ম্যাচ। ৩৮ ম্যাচের লিগে এটাই এক মৌসুমে রিয়ালের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হার।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৬১ মিনিটে প্রথম গোল করেছেন লরেন মরেনো। ৭৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেছেন সাবেক রিয়াল স্ট্রাইকার হেসে রদ্রিগেজ। কেইলর নাভাস বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আরওবড় ব্যবধানে হারতে পারত জিদানের দল।
নাভাস অবশ্য প্রথমার্ধেও খেলেছেন দুর্দান্ত। ম্যাচশেষে সমর্থকদের হাত তুলে বিদায় জানিয়েছেন। সবার শেষে মাঠ ছেড়েছেন তিনিই। কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়, তবে বার্নাব্যুতে হয়ত শেষ ম্যাচটাও খেলে ফেললেন রিয়াল মাদ্রিদের কোস্টারিকান গোলরক্ষক।
আগের ম্যাচে সোসিয়েদাদের কাছে হারের পর একাদশে ৬ পরিবর্তন এনেছিলেন জিদান। ভাঁড়ানে, মদ্রিচ, ভিনিসিয়াসরা ফিরেছিলেন একাদশে। ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে একবারই মাত্র নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল। কিন্তু করিম বেনজেমার শট বারপোস্টে লেগে ফেরত আসলে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি মাদ্রিদের। বেটিস অবশ্য আরও সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছিল তখন। লরেন মরেনো নাভাসের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানে অনেক সময় পেয়েও বল মেরেছিলেন বাইরে দিয়ে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই ভুলটা আর মনে রাখার কথা না মরেনোর।
জিদান যখন প্রথমবারের মতো টানা দুই লা লিগা ম্যাচে হারের ক্ষণ গুনছিলেন অন্য ডাগ আউটে তখন স্বভাবতই ছিল উল্লাস। বেটিস ম্যানেজার কিকে সেতিয়েনের ম্যাচশেষে একটা রেকর্ডও হয়ে গেছে বার্নাব্যুতে। ন্যু ক্যাম্পেও এবার জিতেছিলেন তিনি, এরপর হারালেন রিয়াল মাদ্রিদকেও। এক মৌসুমে এই দুই মাঠে জয় পাওয়া শেষ ম্যানেজার গ্রেগরিও মানজানো, ২০০২-০৩ মৌসুমে মায়োর্কার হয়ে শেষ এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।