পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে আমির, আসিফের সঙ্গে ফিরলেন ওয়াহাব রিয়াজও
দুইটি পরিবর্তনের কথা পাকিস্তানের গণমাধ্যমে চাউর হয়ে গিয়েছিল আগেই। মোহাম্মদ আমির ও আসিফ আলী যে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ১৫ জনের দলে সুযোগ পেতে পারেন, সেই খবর আগেই ফাঁস করে দিয়েছিল সে দেশের গণমাধ্যম। তবে চমক হয়ে এসেছে ওয়াহাব রিয়াজের নাম। তাঁকে জায়গা দিতে গিয়ে সরে যেতে হয়েছে জুনাইদ খানকে। সেই সঙ্গে বাদ পড়েছেন ফাহিম আশরাফ ও আবিদ আলী।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্রই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ তে হেরেছে পাকিস্তান। ব্যাটসম্যানরা রান পেয়েছেন, প্রথম তিন ম্যাচেই পাকিস্তান ৩৪০ এর বেশি রান করেছে। শেষ ম্যাচেও ৩০০ ছুঁই ছুঁই রান ছিল। কিন্তু প্রতিটা ম্যাচেই হেরেছে, ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা জুনাইদদের পাড়ার বোলারদের পর্যায়েই নামিয়ে এনেছেন কমবেশি সব বোলারই ধুঁকেছেন, তবে কোপটা শেষ পর্যন্ত গেছে জুনাইদ ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফের ওপর।
এই সিরিজে অবশ্য মোহাম্মদ আমিরের খেলার কথা ছিল। কিন্তু চিকেন পক্সের কারণে ছিলেন না। বিশ্বকাপের আগে আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন না, আমির আদৌ জায়গা পাবেন কি না সেটি নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেসারদের ব্যর্থতা আর ইংল্যান্ডের মাঠে আমিরের পারফরম্যান্স শেষ পর্যন্ত কাজ করেছে আমিরের পক্ষে। ওয়াহাব রিয়াজ অবশ্য প্রায় দুই বছর ধরে পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে কেহ্লেননি কাকতালীয়ভাবে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এই ইংল্যান্ডেই। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক বলেছেন, পেসারদের এমন ব্যর্থতার পর ওয়াহাব ও আমিরের অভিজ্ঞতা উপেক্ষা করতে পারেননি তারা।
আসিফ আলীর নামটা অবশ্য সেই অর্থে চমক নয়। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে না থাকলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চারটি ম্যাচেই খেলেছেন। প্রথম দুইটি ম্যাচে ফিফটিও পেয়েছেন। ছয়-সাতে একজন পাওয়ার হিটারের দুরকার থেকেই তাঁকে দলে নেওয়া, ইনজামাম ব্যাখ্যা করেছেন কারণ। নিয়তির পরিহাসই বটে, আজই মাত্র ক্যান্সারে মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে গেছেন আসিফ। তাঁকে জায়গা দিতে গিয়ে সরে যেতে হয়েছে আবিদ আলীকে। মাত্র একটি ম্যাচই খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ড সিরিজে, সেটি কাজে লাগাতে পারেননি আবিদ। ইনজামাম অবশ্য বলেছেন, আবিদের বাদ পড়াটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে হাফিজ ও হারিস সোহেল থাকায় তৃতীয় ওপেনারের বদলে তারা ছয়-সাতে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যানের কথাই ভেবেছেন।