কোহলি-স্মিথের ভক্ত স্টোকসও!
এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকা করলে ওপরের দিকেই থাকবে তাদের দুইজনের নাম। বিরাট কোহলি ও স্টিভ স্মিথ দুজনেই বিশ্বকাপে নিজ নিজ দলের অন্যতম ভরসা। ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস বলছেন, বিশ্বকাপেও দেখা যাবে কোহলি-স্মিথের ব্যাটিংয়ের জাদু। স্টোকস আরও জানালেন, তিনি নিজেও এই দুজনের বড় ভক্ত।
২০১৯ সালে ১১ ওয়ানডে খেলে কোহলির রান ৬১১, সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি। এই মুহূর্তে কোহলি আছেন ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে। অন্যদিকে এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অপেক্ষায় আছেন স্মিথ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আনঅফিশিয়াল ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচে স্মিথ করেছেন ২০২ রান।
স্টোকস বলছেন, তিনি কোহলি-স্মিথের অনেক বড় ভক্ত,, ‘তাঁরা দুজনেই অবিশ্বাস্য ক্রিকেটার। দুজনের সাথেই খেলার সুযোগ হয়েছে। তাদের খেলা দেখলে মনে হয় ব্যাটিংটা অনেক সহজ কাজ! আমি দুজনেরই অনেক বড় ভক্ত।’
বিশ্বকাপে দেখা যাবে কোহলি-স্মিথের সেরা রূপটাই, সতর্ক করলেন স্টোকস, ‘দুজনের খেলা স্টাইল ভিন্ন। তবে তাঁরা যেভাবেই খেলুক সেটাই কাজে দেয়। স্মিথ অনেকদিন খেলেনি, তবে ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরছে। কোহলি তো বছরজুড়েই দারুণ ফর্মে আছে। তাঁরা দুজনেই বিশ্বকাপে ভালো করবে। তাদের বিপক্ষে আমিও মাঠে নামবো, জিততেও চাইবো। তবে তাদের খেলা দেখতেও ভালো লাগে।’
এবারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকেই ফেভারিট মানছেন বেশিরভাগ মানুষই। ঘরের মাঠে এটা কি বাড়তি চাপে রাখবে ইংল্যান্ডকে? স্টোকসের মতে, এই চাপ নিয়ে খেলার অভ্যাসটা হয়ে গেছে তাদের, ‘আমরা গত তিন-চার বছরে দুর্দান্ত খেলেই এই জায়গাতে এসেছি যেখানে আমাদের ফেভারিট মানা হচ্ছে। র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল হলে তাদের ফেভারিট ধরা হবেই। যদি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপে আসতো, তারাও ফেভারিট হতো। তবে র্যাংকিংই সব না, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেটার প্রমাণ পেয়েছে সবাই। আমরা অবশ্য এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিপক্ক। তখনকার চেয়ে পরিস্থিতি ভালোভাবে সামলাতে পারে সবাই।’